মতামত

রক্ষিবাহিনীর ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড (শেষ পর্ব)

রাষ্ট্রপতির প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হয়েই এম এ জি ওসমানী সরোয়ার ও আমাকে একদিন বঙ্গভবনে ডাকেন। সেখানে গিয়ে দেখি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বিষণ্ন মনে এক কোণায় বসে আছেন। আগের দিন তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বঙ্গভবনে তখনো এম এ জি ওসমানীর কোনো অফিসকক্ষ হয়নি। একটি ছোট ঘরে তিনি আমাদের দুজনকে নিয়ে বসলেন। প্রথমেই ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করলেন, How many Hindus are there in Rakhhi Bahin? প্রশ্নটা অবাক করার মতো! শুনেই মনে হলো একি কথা শুনি আজি মন্থরার মুখে। মাত্র বছরখানেক আগেই তিনি সিলেটের একটি হিন্দু ছেলেকে লিডার পদে নিয়োগের জন্য আমাদের পরিচালককে অনুরোধ করেছিলেন। আজ তিনি জিজ্ঞাসা করছেন- ক’জন হিন্দু আছে রক্ষীবাহিনীতে? অবাক হওয়ারই কথা!

আমরা দু’জন বললাম, হিসাব না করে এটা বলা যাবে না। তবে হিন্দুদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এরপর ওসমানী আমাদের বলেন, রক্ষীবাহিনী বিলুপ্ত করা হবে এবং রক্ষীদের ভাগ করে পুলিশ ও আনসার বাহিনীতে দেওয়া হবে। আমরা বললাম, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই। কথা বলতে হবে আমাদের পরিচালক এ এন নূরুজ্জামানের সঙ্গে। এ জন্য তাকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আমরা আরও বলি, তার সঙ্গে আমরা টেলিফোনে কথা বলতে চাই।

ওসমানী আমাদের কথায় খুব রাগান্বিত হলেন। ইংরেজিতে বললেন, ‘Nuruzzaman cant come.’ আমরা এবারও দৃঢ়ভাবে তাকে জানালাম, নূরুজ্জামান ছাড়া রক্ষীবাহিনী সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। কারণ, রক্ষী সদস্যরা এটা মানবে না। এ ব্যাপারে আমাদের আরও কিছুক্ষণ কথা হয়। এখন আর সব কথা মনে নেই। কথা বলার পর ওসমানী একটু নরম হন এবং ইংরেজিতে বলেন, ‘l will talk to the President.’

এদিকে আমরা যখন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এম এ জি ওসমানীর সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন জিয়াউর রহমান এবং এম এ মঞ্জুর আমাদের খুঁজছিলেন। এম এ জি ওসমানীর সঙ্গে কথা বলে আমরা বের হতেই জিয়া আমাদের দেখতে পান। তিনি আমাদের ডেকে বলেন, ‘তোমরা চিন্তা কোরো না, সরকার যদি ভেঙেও দেয়, রক্ষীবাহিনীর সব সদস্যকে আমি সরকারিভাবেই সেনাবাহিনীতে নেব।’ আমাদের পরিচালক এ এন এম নূরুজ্জামানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি। তার কথায় আমরা একটু আশ্বস্ত হয়ে অফিসে ফিরে আসার জন্য বঙ্গভবন থেকে বের হই। তখন এম এ মঞ্জুরও আমাদের সঙ্গে বের হন এবং আমাদের অফিসে আসেন। সেখানে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবুল হাসান খান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সারোয়ার ও আমি তার সঙ্গে রক্ষীবাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। কারণ, আমরা জানতাম, এম এ মঞ্জুরের ওপর জিয়াউর রহমানের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আলোচনায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, জিয়ার মতো মঞ্জুরও চান রক্ষীবাহিনীর পুরোটাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হোক। কারণ, রক্ষীবাহিনী সদস্যদের প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতার ওপর তাদের পূর্ণ আস্থা ছিল এবং তারা জেনেছেন, খন্দকার মোশতাক রক্ষীবাহিনীকে বিলুপ্ত করে দেবেন। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর রক্ষীবাহিনী দেশে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অসাধারণ অবদান রেখে যে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা সেনাবাহিনী সম্প্রসারণে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে। আমরা বলি যে, আমরা বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখব। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই এ এন এম নূরুজ্জামানকে দেশে আসতে দিতে হবে।

এম এ মঞ্জুর পরদিন সকাবেলা আমাদের নতুন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। সরোয়ার, সাবিহ উদ্দিন ও আমি যথাসময়ে তার সেনানিবাসের বাসায় যাই। সেখানে এম এ মঞ্জুরও উপস্থিত ছিলেন। দেশ পরিচালনার বিষয়ে আমাদের মতামত চেয়ে জিয়াউর রহমান আলোচনার সূত্রপাত করেন। আমরা আগেই জেনেছিলাম যে, এম এ মঞ্জুর সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণায় আকৃষ্ট। এ ভাবধারার প্রতি তাঁর বেশ আকর্ষণ আছে। সম্তবত জিয়াউর রহমানকেও তিনি এই ভাবধারার দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্যই হয়তো জিয়াউর রহমান সমাজতন্ত্র সম্পর্কে আমার মতামত জানতে চান। তিনি আমাকে আগে থেকেই চিনতেন এবং নানা সময়ে তার সঙ্গে আমার দেখা ও কথা হয়েছে। এ কথা আগে বলেছি। আবার চাকরির কারণে আমাদের মধ্যে দূরত্বও ছিল। পদমর্যাদায় তিনি আমার অনেক ওপরে ছিলেন। এ অবস্থায় আমি কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। এরপর শুরু হয় আসল বিষয় অর্থাৎ রক্ষীবাহিনী নিয়ে আলোচনা। এবারও জিয়াউর রহমান এ আলোচনার সূত্রপাত করেন এবং আমাদের বক্তব্য জানতে চান। আমরা তাকে সংক্ষেপে এরকম একটা স্পষ্ট ধারণা দিলাম যে, এটা করার জন্য অনতিবিলম্বে আমাদের পরিচালক নূরুজ্জামানের দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর বললাম, রক্ষীবাহিনীকে যদি সত্যিই বিলুপ্ত করা হয়, তাহলে বাহিনীর সদস্যদের ভাগাভাগি করে বিভিন্ন বাহিনীতে না দিয়ে সবাইকে একসঙ্গে সেনাবাহিনীতে আন্তীকরণ করা হলে তারা হয়তো রাজি হবে। তবে রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা যে যে র‌্যাংকে আছেন, সেনাবাহিনীতেও তাদের সেই একই র‌্যাংকে নিতে হবে।

জিয়া আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আমাদের কথা শেষ হলে তিনি আমাদের উপস্থাপিত বিষয়গুলো তার ওপর ছেড়ে দিতে বলেন। খুব বেশি কথা তিনি বলেননি। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে আমরা বুঝতে পারলাম, তিনি চিন্তা করেছেন রক্ষীবাহিনীকে সেনাবাহিনীতে আন্তীকরণ করা হলে সেনাবাহিনীই লাভবান হবে। রক্ষীবাহিনীর সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, যথা-মিরপুরে রক্ষীবাহিনীর নির্মাণাধীন হেডকোয়ার্টার্স, সাভার প্রশিক্ষণকেন্দ্র, চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর প্রশিক্ষণকেন্দ্র (এখন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি) এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত রক্ষীবাহিনীর জায়গাগুলো পাবে। এ ছাড়া রক্ষীবাহিনীর ১৬টি ব্যাটালিয়ন পেলে সেনাবাহিনীর পাঁচটি ব্রিগেডকে পাঁচটি ডিভিশনে উন্নীত করা সহজ হবে। এ ছাড়া এম এ মঞ্জুরের আরেকটি যুক্তি ছিল, রক্ষীবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের পেলে সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আলোচনার পর আমাদের রক্ষীবাহিনীর পরিচালক এ এন এম নূরুজ্জামানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে দেওয়া হয়। তাকে আমরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যা যা করেছি, সব জানাই। আমরা যা করেছি তার ওপর তিনি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করেন এবং সমর্থন জানান। এর কয়েক দিন পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। সারোয়ার ও আমি অনেকটা ভারমুক্ত হই। এদিকে সরকারের বিভিন্ন সূত্রে খবর পাই যে, জাতীয় রক্ষীবাহিনীকে বিলুপ্ত করে রক্ষী সদস্যদের আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে ভাগ করে দেওয়ার ব্যাপারে খন্দকার মোশতাক, এম এ জি ওসমানী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান এবং এম এ মঞ্জুর অবস্থান নিয়েছেন এর বিপক্ষে। তাদের পরিকল্পনা রক্ষীবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণাধীন সব কর্মকর্তা ও সদস্যকে সেনাবাহিনীতে আন্তীকরণ করা। এ ব্যাপারে খালেদ মোশাররফ কোন পক্ষে, সেটা বোঝার উপায় ছিল না। তবে সরকারের মধ্যে দ্বিমতের সুযোগে আমাদের এক পক্ষ নেওয়ার পথ খুলে গেল। সেটা ব্যবহার করে আমাদের পরিচালক লন্ডন থেকে ফিরেই কৌশলগত কারণ ও রক্ষীবাহিনীর স্বার্থে জিয়াউর রহমানের পক্ষ নেন। আন্তীকরণ-প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য তাকে সেনাসদরে সংযুক্ত করা হয়।

এ সময় রক্ষীবাহিনীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য বঙ্গভবনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খন্দকার মোশতাক, এম এ জি ওসমানী, খলিলুর রহমান, জিয়াউর রহমান এবং এ এন এম নূরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। জিয়াউর রহমান দেশের প্রতিরক্ষাশক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে রক্ষীবাহিনীর সকল স্তরের কর্মকর্তা ও রক্ষী সদস্যদের সেনাবাহিনীতে নেওয়ার জোর দাবি উপস্থাপন করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে খন্দকার মোশতাক তার সঙ্গে বেশ রূঢ় আচরণ করেন। তার পরও জিয়া তার দাবিতে অনড় থাকেন এবং যুক্তি দেখান। অনেক আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর সিদ্ধান্ত হয় রক্ষীবাহিনী সম্পূর্ণভাবে সেনাবাহিনীতে একীভূত হবে। এ সময় প্রশ্ন দেখা দেয় যে, রক্ষীবাহিনীর সব সদস্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান কিনা, তা খতিয়ে দেখা। এ জন্য সারোয়ার ও আমাকে দেশের প্রধান প্রধান রক্ষীবাহিনী ক্যাম্পে পাঠানো হয়। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার এবং সরকারের সেনা প্লেনে আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পে যাই। রক্ষীবাহিনীর সকল সদস্যদের (লিডার, উপ লিডার, সহ-লিডার ও রক্ষী সদস্য) সঙ্গে কথা বলি এবং তাদের মত নেই। প্রায় সবাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহ দেখান। এরপর ত্বরিত গতিতে রক্ষীবাহিনীর ইউনিটগুলোকে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়। হঠাৎ সেনাবাহিনীর আকার বৃদ্ধি পাওয়ায় সেনাসদস্যরা, বিশেষ করে সেনা কর্মকর্তারা দারুণ খুশি হন। কারণ, রাতারাতি তাদের পদোন্নতির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই সময় দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমে এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে রক্ষীবাহিনী সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য শোনা যায়নি। রক্ষীবাহিনীর অন্য সমালাচোকরাও রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি। গেজেট প্রকাশের দু’তিন দিন পর সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান সারোয়ার ও আমাকে তার অফিসে ডেকে পাঠান। তিনি জানতে চান, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তখনো আমরা ভাবিনি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, রক্ষীবাহিনীর সকল স্তরের সদস্যের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। সরোয়ার ও আমি ঠিক করেছিলাম, আমরা সেনাবাহিনীতে যোগ দেব না। আমাদের পদের সমপর্যায়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে অনেক অসুবিধা এবং ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে আমরা দু’জনই সচেতন ছিলাম। তা ছাড়া আমাদের দু’জনের অতীত অনেকটা এক রকম। ১৯৬২ সাল থেকে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ভূমিকা এবং জাতীয় রক্ষীবাহিনী গঠনে আমাদের অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু আমাদের পরিচালক এ এন এম নূরুজ্জামান ও জিয়াউর রহমান কয়েকটি কারণে আমাদের সেনাবাহিনীতে চেয়েছেন। আমরা দু’জন সেনাবাহিনীর বাইরে থাকলে রক্ষী কর্মকর্তা ও সদস্যরা কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে এবং তাদের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করবে। কারণ, রক্ষীবাহিনী গঠনের শুরু থেকেই আমরা তাদের পাশে ছিলাম। সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সরোয়ার ও আমাকে তার অফিসে আবার ডেকে পাঠান। আমরা দু’জন তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের দু’জনকে সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল র‌্যাংকে যোগ দিতে বলেন। আমরা তার প্রস্তাবে সম্মত হতে সংকোচ বাধ করছিলাম। কারণ, আমরা স্থির করেছিলাম যে আমরা বেসামরিক জীবনে ফিরে যাবো। কিন্তু জিয়া ও নূরুজ্জামানের চাপে ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে যেতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের স্বার্থে আমরা রাজি হই। এরপর প্রায়োজনীয় আদেশ জারি হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ অক্টোবর আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করি। তারপর শুরু হয় আমাদের ওরিয়েন্টেশন কোর্স। কার্যত ১৯৭৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সরোয়ার ও আমি সরাসরি লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে যোগদান করেছিলাম। (শেষ)

লেখক: মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রধান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে রক্ষীবাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরো পড়ুন :

**রক্ষিবাহিনীর ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড (৩য় পর্ব)

**রক্ষিবাহিনীর ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড (২য় পর্ব)

**রক্ষিবাহিনীর ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড