বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এডিবি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যকর উৎপাদন সক্ষমতা ও রপ্তানি সচল থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত হয়েছে।
করোনার কারণে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মূল ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের জিডিপি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে মনে করে এডিবি। যদিও এই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ হবে বলে অনুমান করছে সরকার।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘মহামারির প্রভাব থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেরিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য চাপ থাকা সত্ত্বেও সরকার গরিব ও দুস্থদের জন্য মৌলিক সেবা নিশ্চিত করে উপযুক্ত অর্থনৈতিক উদ্দীপনা এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে সুসংহত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রপ্তানি ও রেমিটেন্সের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উদ্দীপনা ও সামাজিক সুরক্ষায় বৈদেশিক তহবিল নিশ্চিত করাসহ সরকারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ফলেই এই পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।’
মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন হাতে পেলে এবং মহামারি ব্যবস্থাপনার ওপর আরও জোর দিলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আরও সহায়ক হবে।’ এডিবি সরকারকে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা এবং দেশের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য এডিবি ইতোমধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে আরও ৫দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি। সেই সঙ্গে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রোগ্রামের জন্য রয়েছে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।