বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যোধপুর জেলা আদালত। বহুল আলোচিত কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার শুনানিতে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এই রায় দেওয়া হয়।
শুনানিতে সালমানের হাজির হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেখানে যাননি ‘দাবাং’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেতা। তিনি না থাকায় শুনানি স্থগিত করেন বিচারক রাঘবেন্দ্র কচ্চবাহ। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেদিন এই অভিনেতাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
সালমানের আইনজীবী হস্তিমল সারশ্বত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘করোনাকালে সালমান খান নিজে হাজিরা দিতে চান না বলে আমরা আদালতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু মাননীয় আদালত তার উপস্থিতি আবশ্যিক বলে জানিয়েছেন।’
১৯৯৮ সালে হিন্দি ভাষার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে— যোধপুরের কাছে কঙ্কনী গ্রামে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছেন তিনি। ভারতের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে ভক্তি করেন এবং রক্ষায় কাজ করে থাকেন। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে মামলাও দায়ের হয়।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা এই মামলায় ২০১৮ সালে এপ্রিলে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন যোধপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেব সিং খাতরি। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়। সালমান দুদিন কারাগারেও ছিলেন। এরপর জামিনে ছাড়া পান। পরে এই অভিনেতার জামিন বাতিলের জন্য আদালতে আপিল হয়।
‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমায় সালমান খানের সহশিল্পী সাইফ আলী খান, সোনালী বেন্দ্রে, টাবু ও নীলমকেও এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। তবে আদালতের রায়ে তারা অব্যাহতি পান।