দেশে মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি), মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেলেও পুষ্টির উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনও বেশ পিছিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে এখনও সাত চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান বলে মনে করেন বক্তারা।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শিল্প কারখানায় পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কে. এম আব্দুস সালাম।
আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)।
চ্যালেঞ্জগুলো হলো: গ্লোবাল হাঙ্গার সূচকে-২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের র্যাংকিং ১১৭ এর মধ্যে ৮৮, গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি- ২০১৯ সূচকে বাংলাদেশের র্যাংকিং ১১৩ এর মধ্যে ৮৩, পুষ্টিকর খাবারে ব্যয় করার ক্ষমতা শহরের (৯৬ শতাংশ) তুলনায় গ্রামে (৮৭ শতাংশ) তুলনামূলক কম হওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে আয়ের কম অংশ ব্যয় করা, খাবার হিসেবে প্রধানত চালের ওপর নির্ভরশীল হওয়া, দুধ-ডিম-ফল ও ডাল কম খাওয়া এবং চিনি বা শর্করা জাতীয় খাবার বেশি নির্ভরশীল হওয়া।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) শিবনাথ রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, আইসিডিডিআরবি’র সহযোগী বিজ্ঞানী ড. মুত্তাকিনা হোসাইন, গেইন-বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা)-এর মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর, পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন-এনভায়রনমেন্ট ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার স্ট্যাটাটিসটিক্স প্রকল্পের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তাইন হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মধ্যে পুষ্টি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন গেইন বাংলাদেশের পোর্টপোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল।
অনুষ্ঠানে কে. এম আব্দুস সালাম বলেন, এখন সময় এসেছে পুষ্টিকর খাবার নিয়ে চিন্তা করার। কারণ, খাবার মানুষের শুধু ক্ষুধা নিবারণের জন্য না, বরং তা সুস্বাস্থ্যের আধকারী করে তুলবে।
শিবনাথ রায় বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে কর্মরত পরিদর্শকদের পুষ্টি বিষয়ক উন্নতজ্ঞান জরুরি। এতে তারা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় শ্রমিকদের খাবারের মানোন্নয়ন বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারবে।