চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাহ্উদ্দিন।
শনিবার (৩ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বাফুফের নির্বাচনে ১৩৫ ভোটের মধ্যে ৯৪ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আশির দশকের বাংলাদেশের উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়ের বাক্সে পড়েছে ৪০ ভোট। শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ১ ভোট।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৯ জন, ভোট দিয়েছেন ১৩৫ জন। বাকি চারজন নির্বাচন কেন্দ্রে আসেননি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
২০০৮ সালে প্রথমবার দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাহ্উদ্দিন। সেবার তিনি হারিয়েছিলেন মেজর জেনারেল আমিন আহমেদেক। চার বছর পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন কিংবদন্তি এ ফুটবলার। ২০১৬ সালে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের ফুটবলের সভাপতি পদে বসেন। শেষবার সালাহ্উদ্দিন হারান কামরুল আশরাফকে। এবার জাতীয় দলের সাবেক দুই ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায় নির্বাচন করলেও কেউ পাত্তা পাননি তার সামনে।
গত নির্বাচনের আগে সালাহ্উদ্দিন বলেছিলেন, এটি হতে যাচ্ছে তার জন্য শেষ নির্বাচন। তবে এবারও তিনি নির্বাচন করে ফের বাফুফের দায়িত্ব নিলেন।
বর্তমানে ফিফা র্যাংকিংয়ে ১৮৭ তে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর মে মাসে ১৯৭ তে নেমে গিয়েছিল লাল-সবুজরা। ১২ বছর আগে সালাহ্উদ্দিন যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন বাংলাদেশের ফিফা র্যাংকিং ছিল ১৫০-এর নিচে। এরপর ধারাবাহিকভাবেই অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের।
এক যুগে বাফুফের সভাপতি হিসেবে সালাহ্উদ্দিন কতটা সফল তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। সর্বশেষ ইশতেহারের ৭০-৭৫ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছেন দাবি করে নতুন করে এবার ৩৬ দফা যুক্ত করেছেন তিনি।
জাতীয় ফুটবল দল, ঘরোয়া ফুটবল, মহিলা ফুটবল, উন্নয়ন প্রকল্প ও টেকনিক্যাল—এ পাঁচটি ভাগে ফুটবল উন্নয়নের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন।
টানা ১২ বছর ফুটবলের প্রধানের থাকায় সাফল্যের সঙ্গে আছে ব্যর্থতাও ছিল সালাহ্উদ্দিনের। তবুও তার সময় ফুটবল মাঠেই ছিল। এজন্যই হয়তো ঘুরে ফিরে সেই সালাহ্উদ্দিন ফুটবলের প্রধান কর্তা।
প্রসঙ্গত, ভোট দেননি চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মাকসুদুর রহমান ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাফওয়ান সোবহান ভোট দিতে আসেননি। অর্থপাচার মামলায় খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী কারাগারে রয়েছেন। তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন রয়েছেন বিদেশে।