খেলাধুলা

ফিটনেস সমস্যা নিয়ে সেমিফাইনালে জোকোভিচ

কোনও কিছু পক্ষে ছিল না নোভাক জোকোভিচের। কঠিন প্রতিকূলতা জয় করে শেষ পর্যন্ত ফ্রেঞ্চ ওপেনে টিকে থাকলেন সার্ব শীর্ষ বাছাই। উঠে গেলেন সেমিফাইনালে।

কোর্টে নামার আগে জোকোভিচের ঘাড়ে লাগানো ছিল টেপ, কিছুক্ষণ পরপর তার বাম বাইসেপ ম্যাসেজ করতে হয়েছে। ঘাড় ও বাম বাহুতে তীব্র ব্যথা নিয়ে খেলতে এত কষ্ট হচ্ছিল যে প্রথম সেটে হেরে যান। তবে শারীরিক সমস্যাকে সামলে নিয়ে তিন ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে লড়াই শেষে চার সেটের ম্যাচটি তিনিই জেতেন।

বুধবার রাতে ফিলিপ্পে সাত্রিয়েরে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ছিল পাবলো কারেনো বুস্তা। ঠিক ৩১ দিন আগে ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে এই স্প্যানিশের মুখোমুখি হয়ে দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি হয়েছিল সার্ব তারকার। লাইন জাজকে ভুল করে বল দিয়ে আঘাত করে ডিসকোয়ালিফাইড হন তিনি। প্যারিসে প্রথম সেটে হার ও শারীরিক সমস্যার কারণে ফের জোকোভিচের বিদায় ঘণ্টা বাজছিল। শেষ পর্যন্ত ৪-৬, ৬-২, ৬-৩, ৬-৪ গেমে ম্যাচটি জিতে নেন ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন।

ম্যাচ শেষে ইনজুরির কথা স্বীকার করে জোকোভিচ বলেছেন, ‘আমার ঘাড় ও কাঁধে কিছু সমস্যা হয়েছে। আমি এখনও টুর্নামেন্টে আছি, তাই বেশি কিছু প্রকাশ করতে চাই না। আমি ভালোবোধ করছি। ম্যাচ যত এগিয়েছে, আমার ব্যথাও চলে গেছে। এটা আমাকে আরও ভালো করে খেলতে সাহায্য করেছে।’

জোকোভিচের ইনজুরি নিয়ে সন্দিহান বুস্তা, ‘এটা তো স্বাভাবিক, না? তিনি তো সবসময় এমন (অঙ্গভঙ্গি) করেন। কোর্টে গত বছরও এমনটা করেছিলেন, যখন সমস্যা হচ্ছিল। আমি জানি না তার সত্যিই ব্যথা আছে কি না কিংবা কোনও মানসিক সমস্যা!’

দ্বিতীয় ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতার জন্য শরীরের ব্যথাকে জয় করতেই হবে। পেরোতে হবে আরও দুটি বাধা। সেমিফাইনালে গ্রিক প্রতিপক্ষ স্তেফানে সিসিপাসকে মোকাবিলার আগে দুই দিন সময় পাচ্ছেন জোকোভিচ। ফাইনালে উঠলে দেখা হবে রাফায়েল নাদাল কিংবা ডেভিড শোয়ার্জমানের সঙ্গে। অবশ্য কোর্টের প্রতিপক্ষকে ছাপিয়ে এখন জোকোভিচের সবচেয়ে বড় লড়াই ফিটনেস ফিরে পাওয়ার সঙ্গে।