ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জেতার হাতছানি সোফিয়া কেনিনের সামনে, তাও আবার একই বছরে। দুইবারের উইম্বলডন ওপেন জয়ী পেত্রা কেভিতোভাকে হারিয়ে বৃহস্পতিবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন এ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন। শনিবার ফিলিপ্পে সাত্রিয়ের কোর্টে তার প্রতিপক্ষ প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠা পোলিশ তরুণি ইগা সিওয়াটেক।
২১ বছর বয়সী আমেরিকান কেনিন ৬-৪, ৭-৫ গেমে জিতেছেন চেক সপ্তম বাছাই কেভিতোভার বিপক্ষে। ২০১২ সালের পর প্যারিসে প্রথম সেমিফাইনাল খেলা কেভিতোভার বিপক্ষে ১০টি ব্রেক পয়েন্ট সেভ করেছেন তিনি। রোলাঁ গারোঁর প্রথম ফাইনালে ওঠার পথে শীর্ষ বাছাই সিমোনা হালেপকেও চতুর্থ রাউন্ডে বিদায় করেছিলেন এই চতুর্থ বাছাই।
আরেক ম্যাচে সিওয়াটেকের প্রতিপক্ষ ছিলেন উন্মুক্ত যুগে প্রথম কোয়ালিফায়ার হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠা নাদিয়া পোডোরোস্কা। আর্জেন্টাইন প্রতিপক্ষ পাত্তা পাননি ১৯ বছরের সিওয়াটেকের কাছে। মাত্র ৭০ মিনিটে তাকে ৬-২, ৬-১ গেমে হারিয়েছেন পোলিশ তরুণী।
১৯৩৯ সালের পর প্রথম পোলিশ নারী হিসেবে প্যারিসের ফাইনালে উঠলেন সিওয়াটেক। ৮১ বছর আগে এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপার মঞ্চে খেলেছেন জাডউইগা জেডরেজোভস্কা, যদিও রানারআপে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
সেমিফাইনাল জেতার পর সিওয়াটেক বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত। কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি যদি কোনও গ্যান্ড স্লাম ফাইনালে উঠি, সেটা হবে ফ্রেঞ্চ ওপেন। এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। এই ম্যাচ এমনভাবে খেলতে চেয়েছি যেন এটা প্রথম রাউন্ড। সেমিফাইনাল ভেবে চাপ নেইনি।’
সিওয়াটেক ও কেনিন কখনও গ্র্যান্ড স্লামে মুখোমুখি হননি। তবে দুজনের দেখা হয়েছিল চার বছর আগে জুনিয়র্সের ফাইনালে। কেনিনের স্মৃতিতে ওই ম্যাচ ভেসে উঠেছিল, ‘আমি হেরে গিয়েছিলাম, কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল।’ তাকে নিয়ে ভাবছেন না সিওয়াটেক, ‘সোফিয়া এ বছর আগুন ফর্মে। আমি এখন এটা নিয়ে ভাবতে চাই না, আমি ফাইনালে উঠেছি। অনেক খুশি।’