বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের ১০ম দিনে ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শেষ করেন। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য রয়েছে।
এদিন যারা সাক্ষ্য দিলেন তারা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম এবং মেসবয় মো. ফরিদ।
মামলাটিতে ৫ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
এনিয়ে মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
২৫ আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে, বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।