সারা বাংলা

রায়হানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও মৃত‌্যুর কারণ ‘আঘাত’

সিলেটে বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও মৃত‌্যুর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত আঘাত ও বেশি জখমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম এই প্রতিবেদন দেওয়ার সময় এ কথা জানান। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পিবিআইকে প্রতিবেদনটি হস্তান্তরের করেন তিনি।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘দ্বিতীয় ময়না তদন্তেও প্রথম প্রতিবেদনের সামঞ্জস‌্য পেয়েছে ফরেনসিক মেডিক‌্যাল বোর্ড। অতিরিক্ত আঘাতের কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে এবং ভোতা অস্ত্রের আঘাতই তার শরীরে বেশি জখম হয়েছে। ‘

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর রাতে প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অতিরিক্ত আঘাতের কারণে দেহের অভ্যন্তরের শিরা ফেটে ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ে (রক্তক্ষরণ) মারা গিয়েছেন রায়হান।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘মৃত্যুর চার ঘণ্টা আগে থেকে রায়হানকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার দেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন আছে। নখও উপড়ে ফেলা হয়েছে। আঘাতগুলো লাঠির। আঘাতের মধ্যে ৯৭টি লিলাফোল এবং ১৪টি জখমের চিহ্নও আছে।

তবে প্রথমটির প্রতিবেদন জমার আগেই গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য নগরের আখালিয়া নবাবী মসজিদ পঞ্চায়েত গোরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে রায়হানের মরদেহ ফের দাফন করা হয়। আজ এ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হলো।

গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতেই কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। এ ঘটনায় ওই ফাঁড়ি ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই। সবশেষ আকবরকে পালাতে সহযোগিতা করায় বুধবার এসআই হাসান আহমদকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন, আর কনস্টেবল টুটুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিরা পুলিশের হেফাজতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে আছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।