টলিউড নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও তার স্ত্রী মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অষ্টমীর দিন সকালে পূজা মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোন-’এ ঢুকে অঞ্জলি দিয়ে আদালত অবমাননা করার অভিযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—শুধু সৃজিত-মিথিলাই নন, টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহানসহ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যারা অষ্টমীর দিন সকালে মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিয়েছেন, তাদের সবার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পূজা মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি। আর পূজা শেষ হতেই নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। নুসরাত জাহান, সৃজিত-মিথিলার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ ডাকে প্রেরণ করেছেন। বুধবার (২৮ অক্টোবর) নোটিশ হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর সকালে কলকাতার নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের পূজায় অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান, নিখিল জৈন, সৃজিত, মিথিলা। ওই পূজা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পূজা বলেই অধিক পরিচিত। প্রতিবারই সেখানে বিভিন্ন তারকারা অঞ্জলি দিতে যান। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ছিল আলাদা। করোনার কারণে কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত পূজা মণ্ডপ ‘দর্শকশূন্য’ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পূজার উদ্যোক্তা ছাড়া কেউ ‘নো এন্ট্রি জোন’-এ প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ বহিরাগত দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন আদালত।
ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর মনের লেনা-দেনা। এ জুটির সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তারা। কলকাতায় সৃজিতের ফ্ল্যাটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়েতে সৃজিত-মিথিলার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।
তারপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় বিবাহত্তোর সংবর্ধনার আয়োজন করেন সৃজিত। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। করোনার এই সংকট শুরুর আগে থেকে দুজন দুই দেশে অবস্থান করছিলেন। গত ১৫ আগস্ট কলকাতায় গিয়েছেন মিথিলা। সেখানে শ্বশুরবাড়িতে পূজা উৎসব উদযাপন করেন তিনি।