সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমেদের মৃত্যুর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) হারুনুর রশীদকে আবার ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এর আগে প্রথম দফায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
আজ ওই দুজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম আশেক এলাহীর ৭ দিনের এবং হারুনুর রশীদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে বুধবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সিলেট পুলিশ লাইনসে হেফাজতে থাকা আশেক এলাহীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। রায়হান হত্যার পর গত ১৩ অক্টোবর প্রত্যাহার করা তিন পুলিশ সদস্যের মধ্যে তিনিও আছেন।
২৪ অক্টোবর হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন তাকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রথম দফা রিমান্ড শেষ হওয়ায় তাকে আজ ফের আদালতে তোলা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে আবারও রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআিই।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (রোববার) ভোরে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়। সেদিন রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। এ ঘটনায় ওই ফাঁড়ির ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই।