ফুটবলের কারণেই তাদের কাছে আসা। বার্সেলোনার অপ্রতিরোধ্য আক্রমণ গড়ে উঠেছিল তাদের হাত ধরে। কিন্তু এখন দুজনের পথ বদলে গেছে। ক্লাব তাদের আলাদা করলেও সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তবে ফুটবল নিয়ে খুব একটা কথা হয় না বললেই চলে। বলা হচ্ছে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের কথা। ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে সুয়ারেজ আতলেতিকো মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের সঙ্গে অনেক কথা হয়, কিন্তু সেখানে থাকে জীবন নিয়ে আলোচনা।
এই মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকোয় যোগ দেন সুয়ারেজ। চোখের জলে বিদায় নেন তিনি। তার চলে যাওয়ায় ক্লাব প্রেসিডেন্টকে একহাত নিয়েছিলেন বন্ধু মেসি। উরুগুয়ান স্ট্রাইকারকে ছেড়ে দেওয়ার ধরন পছন্দ হয়নি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের।
লা লিগায় দুইজন এখন প্রতিদ্বন্দ্বী, কিন্তু তা তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারেনি। মেসি-সুয়ারেজের কথা হয় অনেক বিষয় নিয়ে, কিন্তু ফুটবল নয়। মেসিকে নিয়ে সুয়ারেজ স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কাকে বলেছেন, ‘সত্যি হলো আমরা এখনও অনেক কথা বলি, কিন্তু কথার বিষয় থাকে আমাদের জীবন।’
পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠান হলে মেসিকে নিমন্ত্রণ করেন সুয়ারেজ, ‘সম্প্রতি আমার এক সন্তানের জন্মদিন ছিল, তারও। আমরা জীবন নিয়ে কথা বলি, ভাইরাস, সবকিছু; কিন্তু ফুটবল নিয়ে খুবই কম। হয়তো মিস করা গোল কিংবা ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে। ফুটবলের চেয়ে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে বেশি চিন্তা করি।’
বার্সেলোনা থেকে বিদায়ের অনুভূতিও জানালেন ক্লাবটির তৃতীয় শীর্ষ গোলদাতা, ‘যেভাবে আমি চলে এলাম তা আমাকে দুঃখ দিয়েছে, কষ্ট পেয়েছিলাম। আগেও এটা বলেছি। কিন্তু যখন আমার জন্য দরজা বন্ধ করে দিলো তারা, তখন আমার কাজ আর পেশাদারিত্বের মূল্য দিয়ে আরও বেশি দুয়ার খুলে গেলো। এখানে আমি সুখে আছি।’
সাবেক ক্লাবের সঙ্গে সুয়ারেজের দেখা হবে সামনের সপ্তাহে। ২১ নভেম্বর লা লিগায় মেসির দলকে স্বাগত জানাবে আতলেতিকো।