বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ ও চকবাজার মডেল থানার কনস্টেবল মো. দস্তগীর হোসেন।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৬০ সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক আছেন। ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে পেটায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।