বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আদালতের নিরপেক্ষতার বিষয়ে শঙ্কা থাকায় বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের প্রতি অনাস্থা জানান আইনজীবীরা। আদালত এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন।
অনাস্থার বিষয়ে আদালতে দেওয়া আবেদনে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার আইনবহির্ভূতভাবে মামলার ৩৩ নম্বর সাক্ষী সিআইডির এসআই রকিবুল হাসানের জবানবন্দি গ্রহণ করায় আদালতের নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে আশঙ্কা আছে। অন্য আদালতে মামলাটি বদলির জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
সাক্ষীদের জবানবন্দির নেওয়ার পর জেরার সময় আইনজীবীদের প্রশ্ন হুবহু রেকর্ড করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই আবেদনপত্রে।
মামলার বিচারকাজ মূলতবি রাখার আবেদন করেছেন ওই আইনজীবীরা।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৬০ সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক। আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে পিটিয়েছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আবরার বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।