খেলাধুলা

‘ফুটবলকে শিশুর মতো আগলে রাখতেন ম্যারাডোনা’

বেঁচে থাকতে যতটা বিতর্কিত ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ঠিক ততটা মানুষের হৃদয়ে জায়গাও করে নিয়েছিলেন। ফুটবল দিয়ে কতটা মানুষের মনে দাগ কেটেছেন তা কল্পনাতীত। গত ২৫ নভেম্বর আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেট চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার আকস্মিক মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে ওঠেনি বিশ্ব। এমনকি আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের লিজেন্ডরাও শোকাচ্ছন্ন। ম্যারাডোনা কী ছিলেন, ফুটবলে তার প্রভাব কেমন ছিল সেটাই নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ ম্যাচ খেলা কাফু।

২০০২ সালে ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ডিফেন্ডারের মতে, ম্যারাডোনাকে খেলতে দেখা ছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ব্যাপার’। প্রয়াত আর্জেন্টাইন গ্রেটকে ‘প্রতিভা’ আখ্যা দিয়েছেন কাফু। স্ট্যাটস পারফর্ম নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ম্যারাডোনাকে প্রশংসায় ভাসালেন।

আর্জেন্টিনা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তাদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় পেলের সঙ্গে একই আসনে রাখলেন কাফু। ব্রাজিলের দুটি বিশ্বকাপ জয়ী এই ৫০ বছর বয়সী সাবেক ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘তিনি ছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা, কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বে কেবল দুজন সর্বকালের সেরা: ডিয়েগুইতো, তাকে এ নামে ডাকতাম এবং পেলে। ফুটবল বলে জাদুকরী ছোঁয়া হারালো। ডিয়েগো এমনভাবে ফুটবলের যত্ন নিতেন, যেন সে একটি ছোট্ট শিশুকে আগলে রাখছেন। ফুটবল নিয়ে রীতিমতো মজা করতেন তিনি।’

মেসি খেলা দেখা ছিল কাফুর কাছে অবিশ্বাস্য ব্যাপার, ‘আমাদের জন্য, এমনকি ভক্ত ও খেলোয়াড়দের জন্যও তাকে খেলতে দেখা ছিল অবিশ্বাস্য, সেটা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা ব্যাপার। (জুভেন্টাসের বিপক্ষে) বক্সের মধ্যে থেকে তার একটা সেট পিস নেওয়ার কথা মনে আছে। মনে হলো তিনি যেন বলকে আদর দিয়ে জালে পাঠালো। এখন আমাদের বিশ্ব শোক করছে শুধু একজন খেলোয়াড় হারানোর কারণে নয়, একজন ফুটবল প্রতিভাকে হারালাম বলে।’