বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। অনেক নির্মাতার সিনেমায় তাকে দেখা গেছে। কিন্তু খ্যাতনামা নির্মাতা মহেশ ভাটের কোনো সিনেমায় এখনো অভিনয় করেননি তিনি। শুধু তাই নয়, ভাট কন্যা আলিয়া অথবা পূজার সঙ্গেও পর্দায় দেখা যায়নি এই অভিনেতাকে।
বলিপাড়ায় বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষাও কম হয়নি। একটু আড়ি পাতলেই শোনা যায় এটি নিয়ে চর্চার কথা। সালমান খানের বাবা সেলিম খান একজন খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার। মহেশ ভাটের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু ভাট পরিবারের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করার ব্যাপারে সেলিম খানের নাকি ঘোর আপত্তি ছিল।
বলিউডে সালমান খানের যখন অভিষেক হয়, একই সময় মহেশ ভাটের বড় মেয়ে পূজাও ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। দুজনের একসঙ্গে পর্দায় হাজিরের কথা থাকলেও বাদ সাধেন সেলিম খান। কারণ শুরু থেকেই নানা কারণে বিতর্কিত ছিলেন পূজা। খোলামেলা চরিত্রে পর্দায় হাজির হওয়া, ম্যাগাজিনের বাবার সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যের ফটোশুট, মাদকে আসক্তি— সবমিলিয়ে সুযোগ থাকলেও পূজার সঙ্গে সালমানকে অভিনয় করতে দেননি সেলিম খান।
এখানেই শেষ নয়, বলিপাড়ায় সেই সময় গুঞ্জন ছিল, সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে সহঅভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেন পূজা ভাট। সেলিম খান চাননি, সালমানের ক্ষেত্রেও এমনটা হোক।
তারপরও পূজা ভাটকে নিয়ে ‘রামা’ নামের একটি সিনেমা শুরু করেছিলেন সালমানের ছোট ভাই সোহেল খান। কিন্তু মাঝপথেই সিনেমাটির শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, পূজার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সোহেল। আর এই কারণেই সিনেমাটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘ইনশাআল্লাহ’ সিনেমায় সালমান খানের সঙ্গে আলিয়া ভাটের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও হয়নি। বানসালির সঙ্গে মতের বিরোধ হওয়ায় এটি থেকে সরে যান সালমান। পরবর্তী সময়ে সিনেমাটি নির্মাণও বন্ধ হয়ে যায়।
তবে সিনেমা বিশ্লেকরা বিষয়টি অন্যভাবে দেখেন। অনেকের মতে, মহেশ ভাট যে ধরনের সিনেমা নির্মাণ করেন সাধারণত সেগুলোতে অভিনয় করেন না সালমান। দুয়ে দুয়ে চার না মেলার কারণেই ভাট পরিবারের সঙ্গে রুপালি জগতে এক হতে পারেননি ‘দাবাং’ অভিনেতা।