‘বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি’। সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া বাংলাদেশকে নিয়ে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এমন মন্তব্য করেছিলেন বলে জানা যায়। নিজেকে ‘গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসির সিনোনিম’ মনে করা এই কূটনীতিক তামাশার সুরে অপমান করেছিলেন বাংলাদেশকে। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ কথাটির মর্মার্থ কী?- কোনো দিন এ দেশ পরনির্ভরতার গ্লানি থেকে মুক্তি পাবে না! কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ সবলে মেরুদণ্ড সোজা করেছে। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উদ্ভাবনাময় আর সম্ভাবনাময় এক দেশে পরিণত হয়েছে আমাদের দেশ।
শুধু রপ্তানি খাতের উন্নয়নই যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যায়, পৃথিবীর অধিকাংশ উন্নত দেশে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি হয় এখন। বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে কিসিঞ্জারের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালী, কানাডা, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জাপান, চীন, তুরস্ক, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত ও রাশিয়া। এ ছাড়াও নরওয়ে, চিলি, সুইজারল্যান্ড, ইরান, পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি দেশেও পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
এক্সপোর্ট প্রোমশন ব্যুরো’র (ইপিবি) তথ্য মতে, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪০,৫৩৫.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের নির্ধারিত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৫৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার! ২০১৯-২০২০ অর্থ-বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ের উপরোল্লিখত দেশসহ ইইউভূক্ত অন্যান্য দেশ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৫৬.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, হংকং-এ ৭০.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইউএই তে ১৪৩.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ব্রাজিল-এ ৫৫.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সৌদি আরবে ১৫৪.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মেক্সিকোতে ৯২.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মালয়েশিয়ায় ১০৫.৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সিংগাপুরে ৪০.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৪.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
মূল কথায় আসা যাক। যুগান্তরে কীর্তিমান কিছু মানুষ জন্মেন যারা কেবল লোকান্তরিত হন। কখনো হারিয়ে যান না। কর্মে বেঁচে থাকেন। বাঁচেন মানুষের হৃদয় গহীনে প্রজন্মান্তরে- আবেগে, ভালোবাসায় আর শ্রদ্ধায়। তারা প্রশংসা চান না, কিন্তু প্রশংসিত হন। খ্যাতি চান না, কর্মগুনে খ্যাতিমান হন। বলছি দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল শিল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক, ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ এসএম নজরুল ইসলামের কথা।
যারা হেনরি কিসিঞ্জারদের বদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কিংবা দেশব্যাপী কর্মসংস্থানের আয়োজন করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রায় অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিলেন নজরুল ইসলাম। সম্পূর্ণ এককভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। বৃহৎ কারখানা বানিয়েছেন। দেশেই উৎপাদন করেছেন বিভিন্ন পণ্য। অল্প দামে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে। দেখিয়েছেন, ব্যবসায়ে উচ্চ নৈতিক মান বজায় রেখে একটি জাতিকে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সততা, বিশুদ্ধতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে গেছেন প্রখ্যাত এই ব্যবসায়ী। নিজেকে করেছেন অন্যের জন্য উদাহরণ। শুরুটা কি ওতোটা সহজ ছিলো? কতটা বন্ধুর ছিলো একটি প্রতিষ্ঠানকে জায়ান্ট বানানোর পর্যায়ে নিয়ে আসার পথ? কিংবা বাংলাদেশের একটি পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি ও বিক্রি করা কতটা চ্যালেঞ্জের? ওয়ালটন কিভাবে আজকের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে পরিণত হলো?
১৯২৮ সালের ৭ মে। পিতা এসএম আতাহার আলী তালুকদার এবং মাতা মোসাম্মৎ শামছুন নাহারের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন সময়ের সফল ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব নজরুল ইসলাম। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার এটি।
নজরুল ইসলামের বাবাও ছিলেন ব্যবসায়ী। বৃটিশ আমলে তারা আসামের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। সেসময় তার প্রথম ব্যবসায়ীক জীবন শুরু হয় কর্ণফুলি পেপার মিলের ঠিকাদারি দিয়ে। পরবর্তীতে জড়িয়েছেন নিজস্ব টিনের ব্যবসায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুরু করলেন পৃথক ব্যবসা।
পাঁচ ছেলে আর দুই মেয়ের পিতা এসএম নজরুল ইসলাম। পারিবারিক বৈঠকে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রেজভী অ্যান্ড ব্রাদার্স (আরবি গ্রুপ)। এসএম নূরুল আলম রেজভী (ওয়ালটনের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান) তার বড় ছেলে। দেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলেকট্রনিক্স পণ্য পৌঁছে দিতেই প্রতিষ্ঠা করেন এই গ্রুপটির। পরবর্তীতে যা ওয়ালটন গ্রুপ নামে পরিচিতি পায়। এক সময় দেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় ওয়ালটন পণ্যের। শুরু হয় একই গ্রুপের আরেক ব্র্যান্ড মার্সেলের পথ চলা। নজরুল ইসলামের দূরদর্শিতা ও সুযোগ্য পরিচালনায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্যের সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও।
এসএম নজরুল ইসালামের লক্ষ্য ছিল- দেশেই ইলেকট্রনিকস পণ্যের কারখানা নির্মাণ। শুরুটা ছিলো বিদেশি পণ্য আমদানির মধ্য দিয়ে। ১৯৯৯ সালে আমদানি করা টেলিভিশন বিক্রির মাধ্যমে ইলেকট্রনিকসের জগতে প্রবেশ করে ওয়ালটন। ২০০৫ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমি কিনে কারখানার কাজ শুরু করেন উদ্যেক্তা এসএম নজরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে ফ্রিজ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।
পারিবারিকভাবে তারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন ততদিনে। বড় ছেলে এসএম নূরুল আলম রেজভী, মেজো এসএম শামসুল আলম, সেজো এসএম আশরাফুল আলম, চতুর্থ এসএম মাহবুবুল আলম এবং ছোট ছেলে এসএম রেজাউল আলম সবাই বাবার সঙ্গে ব্যবসায় যোগ দেন।
প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটনের এই মহাযাত্রার কমান্ডো অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নজরুল ইসলাম। তার চৌকস আর মেধাবী সাত সন্তান অবতীর্ণ হয়েছেন মূল যুদ্ধে। এই দু:সাহসী পথে ছাতা হয়ে সন্তানদের রোদে ছায়া দিয়েছেন, রক্ষা করেছেন সব ধরণের ঝড়-বৃষ্টি থেকে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বাইরের দেশগুলোতে নেগেটিভ ধারণা ছিল। এই নেগেটিভ ধারণাকে পজিটিভে রূপান্তরের একটা জেদ সবসময়ই ছিল বাবা-ছেলেদের মনে। তাই সবাই যখন প্রচলিত ধ্যানধারণা নিয়ে এগোচ্ছিল, ওয়ালটন গ্রুপ হাঁটতে লাগলো অন্য পথে। তারা দেখলেন প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। দূরদর্শী, সাহসী ও সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিলেন তারা। নির্মাণ করলেন কারখানা। শুরু করলেন উৎপাদন। এরপর যে ব্যবসাতেই হাত দিয়েছেন, সফলতা এসেছে সেখানেই। এভাবেই সৎ, নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী হিসেবে সব মহলে পরিচিতি পেয়েছেন এস এম নজরুল ইসলাম ও তার পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী সন্তানেরা।
কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছিলো তাদের? গাজীপুরের চন্দ্রায় জায়গা কিনে ব্যাংক লোন নিয়ে শুরু করলেন কারখানার ভবন নির্মাণের কাজ। কিন্তু ওই ব্যাংককে কিছু লোক ভুল বোঝাতে সক্ষম হয়। কানপড়া দেয়া হলো- এ ধরনের কারখানা বাংলাদেশে সফলতা পাবে না। ওয়ালটনতো ডুববেই, ব্যাংক তার টাকা ফেরত পাবে না। আর কি? ব্যাংক চাপ দিল টাকা ফেরত দিতে। জমিজমা আর গয়নাগাটিসহ বিভিন্ন সম্পদ বিক্রি করে পরিশোধ করা হয় ব্যাংকের টাকা! তবুই থেমে যাননি অকুতোভয় রেজভি এন্ড ব্রাদার্স বা ওয়ালটন গ্রুপ। কায়ক্লেশে নিজেদের টাকাতেই এগিয়ে নিতে হয় কারখানা। উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাদের।
‘আমাদের পণ্য’। এই স্লোগানে এগিয়ে চলছে ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানটিও এখন বাংলাদেশের একটি অহংকারের এবং সম্মানের স্লোগান। এখন ওয়ালটনের অধীনে প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠার রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত বাড়ছে এর পরিধি। গাজীপুরের কালিয়াকৈরেই ওয়ালটনের সব কারখানা। পুরো স্থাপনার নাম ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স। জমির পরিমাণ ৭৬৪ একর। প্রায় ১৪টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সমান! ফ্রিজের পাশাপাশি টেলিভিশন, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), কম্পিউটার ও ল্যাপটপ, মুঠোফোন, গৃহস্থালি বিভিন্ন সরঞ্জাম, ইলেকট্রিক পণ্য, তার, রাসায়নিক, এলিভেটর বা লিফট, এলইডি বাতি ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে এসব কারখানায়। দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের হিস্যা প্রায় ৭৪ শতাংশ। অন্য পণ্যগুলোও বিক্রিতে রয়েছে শীর্ষস্থানে। সারা দেশে ১৭ হাজারেরও বেশি আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনের ই-প্লাজ থেকে পণ্য কিনতে পারছেন ক্রেতারা। আছে ৩৭২টি ওয়ালটন প্লাজা। ওয়ালটনের বিপণনজালও এখন সিমানা পেরিয়ে বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত।
ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে গেছে ৩৫টি দেশে। আমেরিকার আমাজনের সঙ্গেও পণ্য বিক্রির চুক্তি করেছে ওয়ালটন। কোম্পানিতে সরাসরি কর্মকর্তা-কর্মচারি সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে ওয়ালটন। এটা অনস্বিকার্য যে বাংলাদেশে শিল্পায়নের মডেল এখন ওয়ালটন। ওয়ালটনের কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশি-বিদেশি মন্ত্রীসহ বহু হেভিওয়েটরা। কারখানা পরিদর্শন করে মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছেন তারা। ওয়ালটন কারখানা এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন ও গবেষণা কেন্দ্র। দেশব্যাপী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তারা তৈরি করছেন দক্ষ জনশক্তি।
নজরুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠিত ওয়ালটনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে শিল্পসমৃদ্ধ এক বাংলাদেশের ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরেছেন। তার ওয়ালটন প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশও পারে। নিজস্ব বিশাল কারখানায় তৈরি ওয়ালটনের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য তারই প্রমাণ বহন করছে। এই মহান ব্যক্তির তৃতীয় প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বহু গুণে গুনান্বিত ব্যবসায়ী এসএম নজরুল ইসলাম। ব্যবসায়িক সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এই বিজনেস ম্যাগনেট। টাঙ্গাইল জেলা সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালক এবং টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এই যশস্বী পুরুষ।
নিজ গ্রাম গোসাই জোয়াইরে এসএম নজরুল ইসলাম কারিগরি বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত দাতা ছিলেন তিনি। বয়স্কভাতা প্রকল্প চালু করেছিলেন গ্রামের দুস্থ, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য। আমৃত্য অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করেছেন গোসাই জোয়াইর কমিউনিটি ক্লিনিক।
একজন এসএম নজরুল ইসলাম আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার পরিশ্রমে গড়া প্রতিষ্ঠান রয়ে গেছে মানুষের কল্যাণে। লাখো মানুষের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটন এখন বাংলাদেশের এক নম্বর ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের একটি ব্র্যান্ড হওয়ার জন্য অবিরত প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তার সফল ও মেধাবী ব্যবসায়ী সন্তানেরা। বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স জগতের পাইওনিয়র হওয়ার পথ প্রদর্শক হয়ে থাকবেন এই মহাত্মা। পরোপারে শান্তিতে ঘুমাক তার আত্মা। তার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক বিশ্বের সেরাদের সেরা। প্রয়াণ দিবসে এই প্রত্যাশা।
লেখক: সাংবাদিক এবং ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। ই-মেইল: mahfuzjnu21@yahoo.com