খেলাধুলা

ব্রাজিলিয়ানের গোলে সেমিফাইনালে আবাহনী

ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের প্রথম দুই ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনীর জয়ের নায়ক ফ্রান্সিস্কো তোরেস। এই মৌসুমে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবার জায়গায় নেওয়া হয়েছে তাকে। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের শেষ দিকে করা একমাত্র গোলে উত্তর বারিধারাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলো আবাহনী।

আগামী ৭ জানুয়ারি গতবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হবে আবাহনী। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। তবে সুযোগ পেলেও তা লক্ষ্যভেদ করছিল না।

অন্যদিকে আবাহনীর খেলা নষ্ট করার পণ যেন করেছিল বারিধারা। বল পায়ে রাখায় মন ছিল না তাদের, নেমেছিল শারীরিক শক্তির লড়াইয়ে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের দিকে তো বটেই, রেফারির দিকেও তারা তেড়ে গিয়েছিল।

গোলকিপিংয়েও খেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেননি বারিধারার মামুন আলিফ। বল বাইরে গেলে কিংবা গ্রিপে নিলে সময়ক্ষেপণ করতে দেখা গেছে তাকে। তবে সব বাধা দূরে ঠেলে সুন্দর ফুটবলের প্রদর্শন করে জয় পেয়েছে আবাহনী।

৮ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবনের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন গোলকিপার মামুন। মাসিহ সাইগানির ১৯ মিনিটের ফ্রি কিক সরাসরি তার গ্লাভসে জমা হয়। পরের মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইনে গোললাইন থেকে এক ডিফেন্ডার ফেরান সাইগানির হেড। বিরতির আগে জীবনের আরেকটি শট বারিধারা বিপদমুক্ত করলে আবাহনীর এগিয়ে যাওয়া হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে আবাহনী। ঘণ্টা পেরোনোর আগে ব্রাজিলিয়ান তোরেস গোলমুখের সামনে বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। সাইগানির শট গোলমুখ থেকে এক ডিফেন্ডার ফেরালেও জুয়েল ফিরতি শট নেন, কিন্তু তা বাইরে মেরে আবাহনী সমর্থকদের হতাশ করেন।

ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর আভাস দিচ্ছিল তখন কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর থ্রো ইনে সাইগানির লম্বা পাস ধরে জীবন বল দেন তোরেসকে। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের বুলেট গতির শট এবার জড়ায় জালে। তাতে ১২তম শিরোপা জয়ের মিশনে টিকে রইলো আবাহনী।