অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ৩৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ব্যক্তি পিকে হালদারের মামলা সংশ্লিষ্ট পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সচিব ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে গতকাল রোববার (২৪ জানুয়ারি) চারটি এবং সোমবার আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লিখিত ব্যক্তিরা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করেছে দুদক।
মামলায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো. রাশেদুল হক, ৯ জন বোর্ড মেম্বার, পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী, পি কে হালদারের আত্মীয়-স্বজনসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া, পি কে হালদারের সহযোগীদের অর্থ লোপাটের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬২ জনের হিসাবে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ অবস্থায় আছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এমডি, সিএফওসহ ১০ জনের বিদেশযাত্রা ঠেকাতে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বোর্ডের সদস্যরা ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করেছে, এমন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দুদক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারা ভুয়া কাগজ তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে, সেগুলো হলো—আনান কেমিক্যাল লিমিটেড, সুখাদা প্রপার্টিজ লিমিটেড, মেসার্স বর্ণ, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেড এবং মুন এন্টারপ্রাইজ।
এর আগে গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হককে বেলা সাড়ে ১২টায় দুদকের কার্যালয়ে আনা হয়। বেলা ২টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়।