সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় একাদশে চার ক্রিকেটারের নাম সুপারিশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তাদের মধ্যে প্রথম পছন্দ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের তিন জন মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী ও সবার শেষে সৌম্য সরকার। কিন্তু তার পছন্দের তালিকায় শেষে থাকা সৌম্যকেই নেওয়া হলো!
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাকিব ফেরেন টেস্ট ক্রিকেটে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, এরপর ৫.৫ ওভার বোলিং করে আর খেলতে পারেননি। কুঁচকির চোটে ছিটকে যান ঢাকা টেস্ট থেকেই। তার পরিবর্তে দলে নেওয়া হয় সৌম্যকে।
ব্যাট হাতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সৌম্য। টেস্ট দলে উড়ে এসে জুড়ে বসা এই বাঁহাতি ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বল হাতে প্রথম ইনিংসে এক উইকেট। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ডাক, পরেরটায় ১৩ রান। তার এমন পারফরম্যান্সের কারণে ১৭ রানে হারের পর সাকিবের বিকল্প খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে সমালোচনার করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি নাজমুল।
সৌম্যর মতো মাহমুদউল্লাহও দলের টেস্টের ভাবনায় ছিলেন না। কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও রাখা হয়নি। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মারেন, ওই ম্যাচে দৃষ্টিকটু আউটে টেস্ট দলে নিজের জায়গা হারান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২৫ রান।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘যখন শুনলাম সাকিব ইনজুরিতে, তখন মনে হলো একজন বিকল্প খেলোয়াড় তো লাগবে। তখন এক-এক করে অনেক নাম বলা হয়েছে। ওখানে আমার সামনে আকরাম ছিল, নান্নু ছিল, সুজন-সুমনও ছিল। আমি ওদেরকে চার-পাঁচজনের নাম দিয়েছিলাম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিল প্রথম পছন্দ, তারপর মোসাদ্দেক, শেখ মেহেদী এবং চতুর্থ জন ছিলেন সৌম্য। তারা সৌম্যকেই বাছাই করেছে।‘