সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভা রুপালী চত্ত্বরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত মেয়র কাদের মির্জা বলেন, ‘গতকালের হামলার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি করছি। আজকে আমার সমর্থকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। আমি দাবি না আদায় পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
মেয়র আরও বলেন, ‘প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ আক্রমণ সম্ভব নয়। এজন্য আমি মামলায় নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও পরিদর্শককেও (তদন্ত) আসামি করবো। এছাড়া ফেনীর নিজাম হাজারী এমপি, নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, ফেনী পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজী, দাগনভুঞা উপজেলার চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপন, নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন, সেতুমন্ত্রীর এপিএস মহিতুল, পিএ আবদুল মতিন ও পিআরও নাছেরকেও এ মামলায় আসামি করা হবে।
এরপর তিনি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় পুরো বসুরহাট পৌরসভায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে তার নেতৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগি পরীক্ষা থাকায় আজকের হরতাল শিথিল করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়।