কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করতে দশকের পর দশক ধরে বিচ্ছিন্নতবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। সেই নিরাপত্তা বাহিনীর এখন নতুন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহার করা ‘স্টিকি বোমা’।
আফগানিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এই স্টিকি বোমা। এই বোমা যানবাহনের সঙ্গে সহজেই লাগানো যায় এবং দূর থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মিরে এই বোমার সন্ধান পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কাশ্মির উপত্যকার পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এগুলো ছোট আইইডি এবং বেশ শক্তিশালী। কাশ্মির উপত্যকায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যানবাহনের চলাচলের পরিমাণ বর্তমানে অনেক বেশি হওয়ায় এটি অবশ্যই নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে।’
ভারত সরকার ইতোমধ্যে কাশ্মিরকে বিশ্বের অন্যতম ব্যাপক সামরিকৃত অঞ্চলে পরিণত করেছে। ২০১৯ সালের আগস্টে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৫টি স্টিকি বোমা উদ্ধার করেছে। প্রতিবেশী আফগানিস্তানের তালেবান যোদ্ধাদের নতুন এই কৌশল ভারত ও পাকিস্তানকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব বোমার কোনোটিই কাশ্মিরে তৈরি নয়। এগুলো পাকিস্তান থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে। এগুলোর সব কয়টি ড্রোন ও টানেলের মাধ্যমে পাচার হয়ে এসেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বোমাগুলো উদ্বেগের। কারণ এগুলো সহজেই চুম্বকের মাধ্যম যানবাহনে লাগানো যায়। উপত্যকার ওপর দিয়ে যাতায়াত করা সেনা গাড়ি বহরকে সহজেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
পুলিশ প্রধান কুমার বলেন, এই বোমাগুলো উদ্ধারের পর নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রটোকলেও পরিবর্তন এনেছে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, সামরিক ও বেসামরিক যানের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা, গাড়িতে আরও ক্যামেরা যুক্ত করা এবং গাড়ি বহরের ওপর নজর রাখতে ড্রোন মোতায়েন।