নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পৌরভবনের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত তাকে পৌরভবন থেকে বের হতে দেখা যায়নি। এই সময়ে পুরো পৌরভবন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কোম্পানিগঞ্জ থানার ভার্রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদুল হক রনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর থেকে কাদের মির্জা পৌরসভা ভবনে অবস্থান নিয়েছেন। সেখান থেকে তিনি দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজ করছেন। কাজ শেষে আবার রাত যাপনের জন্য নির্ধারিত কক্ষে চলে যাচ্ছেন। ’
এদিকে, মঙ্গলবারের (৯ মার্চ) সংঘর্ষে সিএনজিচালক আলাউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় তার ভাই এমদাদ হোসেন বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু ওই অভিযোগ এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ।
বসুরহাট পৌরসভা ঘিরে পুলিশের সতর্ক অবস্থান
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, ‘নিহত আলাউদ্দিনের ভাই একটি এজাহার নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তাতে কিছু ভুল থাকায় সংশোধনের জন্য তিনি নিয়ে গেছেন। কার নাম এজাহারে থাকবে, না থাকবে; সেটা তার ব্যাপার।’
বসুরহাটের বর্তমান পরিস্তিতি সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, ‘বর্তমানে শান্ত অবস্থা রয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় টহল দিচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পনীগঞ্জের চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুফের সংঘর্ষে মুজাক্কির নামে একজন সাংবাদিক নিহত হন। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাতে বসুরহাট পৌর এলাকায় পুরনায় সংঘর্ষ হয়। এতে আলাউদ্দিন নামে একজন সিএনজি চালক ও যুবলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।