রপ্তানিমুখী সব শিল্প খাতের ক্ষেত্রে একই কর কাঠামো নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের ব্যবসায়ী নেতারা।
রোববার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে রপ্তানি খাতের নেতারা প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ প্রস্তাব করেন। এসময় নেতারা নিজ নিজ খাতের জন্য বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে এনবিআর সদস্য ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এর ফলে রপ্তানি বাজারে আমাদের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। এজন্য রপ্তানি বাজার বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীসহ নীতি নির্ধারকরা গুরুত্ব দিচ্ছেন। মূলত বর্তমান রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি নতুন পণ্যের বাজার তৈরি করাই প্রধান লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু একটি খাতকে রপ্তানিমুখী বা সুযোগ-সুবিধার আওতায় রাখলে হবে না। সম্ভবনাময় অন্যান্য খাতকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। সবাইকে এক সুবিধার আওয়ায় আনতে পারলে রপ্তানি আয় বাড়বে ও রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প সুরক্ষার জন্য আমাদের আমদানিতে কঠোর নীতি গ্রহণ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসআরও’র মাধ্যমে নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কোম্পানি কর দাতার জন্য আয়কর ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখার জন্য ১০ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টরের জন্য তা ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ। যদিও গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠনসমূহ শতভাগ রপ্তানিমুখী।’
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব বোর্ড জাতীয় ও অর্থনীতির স্বার্থে তৈরি পোশাক খাতের ন্যায় গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে করপোরেট কর ১২ শতাংশ নামিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করছি। এতে রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে এ খাত রাজস্ব বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ভিশন-২০২১ ও ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশে শুল্ক ও কর কাঠামো সংস্কার করে একটি বিনিয়োগ ও শিল্পায়নবান্ধব স্থায়ী কর ও শুল্ক ব্যবস্থা প্রবর্তন করার প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।