নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’টি গ্রুপের বিরোধের জেরে এবার আদালতে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরের দিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোছলেউদ্দিন মিজানের আদালতে এই দু’টি মামলার আবেদন করা হয়।
মামলা দু’টির বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশীদ হাওলাদার ও অ্যাডভোকেট শংকর ভৌমিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, বিকেলে দুটি মামলার অভিযোগের ওপর শুনানি হবে।
একটি মামলার বাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান আরা পারভিন। তিনি তার স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনকে মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেছেন।
অপরদিকে,উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সালাউদ্দিন পিটন বাদী হয়ে মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলার আবেদন করেছেন।
এরআগে, আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহার দুটিতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু থানা পুলিশ সেই এজাহারগুলো মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় ওই দুই বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আরজুমান পারভীন জানান, ৯ থেকে ১৩ মার্চ শনিবার পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও পুলিশের টালবাহানায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড করাতে পারিনি।
অপরদিকে,নিহতের ছোট ভাই মো. এমদাদ হোসেন জানান, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেওয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি।