গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) সভাপতি ও সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এ মশাল প্রজ্জ্বলন করেন। পরে মাশলটি ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
বিএওর আয়োজনে এবারই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বড় কোন ক্রীড়াভিত্তিক আসরের আনুষ্ঠিনিকতা শুরু করা হলো।
মাশাল প্রজ্বলন শেষে বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেন ও সাবেক ভলিবল খেলোয়াড় জেসমিন খান পপির হাতে মশাল তুলে দিলে তারা যাত্রা শুরু করেন।
গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় তাদের থেকে মশাল গ্রহণ করবেন সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় খায়রুজ্জামান ও সাবেক সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি।
গোপালগঞ্জের পুলিশ লাইন মোড়ে তাদের কাছ থেকে মশাল নেন সাবেক উশুকা মেসবাহ উদ্দিন ও তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় মিজানুর রহমান। সেখান থেকে তারা মশাল নিয়ে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত নিয়ে আসলে মশালটি নেন সাবেক আর্চার ইমদাদুল হক মিলন ও উশুকা ইতি ইসলাম।
তারা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌঁছালে সেখান থেকে মশাল নেন জাতীয় হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় মিথুন সরকার।
মশালটি টুঙ্গিপাড়া থেকে প্রথমে আসবে বিওএর কার্যালয়ে। সেখান থেকে গেমসের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আনা হবে। ১ এপ্রিল গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। সেদিন ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে দেশের সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুর এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৫ হাজার ৩’শ ক্রীড়াবিদ ১ হাজার ২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে সোনা ও রৌপ্য পদক রয়েছে ৩৭৮টি।
বিওএর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস্ ২০২০-এর টুঙ্গিপাড়া কর্মসূচীর কো-অর্ডিনেটর এম বি সাইফ বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই গেমসের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে এবং এখান থেকেই এই গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করে এর শুভ সূচনা করা হলো।‘
বিওএর মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস্ ২০২০-এর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসরটি করা হচ্ছে। করোনা মহামারির প্রকোপ মাথায় রেখে খেলোয়াড়দের কোভিড টেষ্টসহ নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দর্শক যারা থাকবেন তার মধ্যে বেশিরভাগই খেলোয়াড়ারাই থাকবেন। আসরটি শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, পুরো বাংলাদেশেই। সব জায়গা থেকেই গেমসটি উপভোগ করা যাবে।’