‘মুজিববর্ষে শপথ নেবো, জাটকা নয়, ইলিশ খাবো’ এ স্লোগান নিয়ে আগামীকাল রোববার (৪ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের জাটকা সংশ্লিষ্ট ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে শনিবার (৩ এপ্রিল) বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সপ্তাহের উদ্বোধনী দিন ৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একই দিন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ৫ এপ্রিল সীমিত পরিসরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আছে—ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছের আড়ৎ, বাজারসহ জনাকীর্ণ স্থানে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও এ সংক্রান্ত আইন বিষয়ে প্রচার, টেলিভিশনে জাটকা সংরক্ষণের গুরত্ব নিয়ে আলোচনা, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহায়তায় ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, জাটকা সংরক্ষণে হাট-বাজার ও আড়তে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা এবং ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচির মধ্যে আছে জেলেদের মধ্যে নৌকা বাইচ, হাডুডু, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন; জাটকাসমৃদ্ধ এলাকায় ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মৎস্যজীবী ও জেলে পল্লীতে সচেতনতামূলক পথনাটক প্রদর্শনী, আঞ্চলিক ও লোক সংগীত পরিবেশন এবং জাটকা রক্ষায় জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা প্রভৃতি। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর সব কর্মসূচি সীমিত পরিসরে পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, জাটকা সংরক্ষণের জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ আছে। এ বছর নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলায় জাটকা আহরণে বিরত থাকা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলের জন্য দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ মট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।