বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত। প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও তামিল নাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা জয়রামের বায়োপিকে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘থালাইভি’ নামে এ সিনেমায় জয়ললিতার চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। আগামী ২৩ এপ্রিল মুক্তি পাবে এ সিনেমা।
এদিকে সিনেমাটির একটি গান মুক্তি পেয়েছে। ‘চালি চালি’ শিরোনামের এ গানে জয়ললিতার যৌবনের লাস্যময়ী রূপকে পর্দায় তুলে ধরেছেন কঙ্গনা। ভিডিওতে কঙ্গনাকে কখনো ঝর্ণায় ভিজতে দেখা যায়, আবার কখনো জলাশয়ে জলকেলিতে মগ্ন এই অভিনেত্রী। কিন্তু বিস্ময়রকর বিষয় হলো—এই গানের শুটিংয়ের সময়ে ১৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজেছেন কঙ্গনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গালতে ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই গানের শুটিং করতে গিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয়েছে পরিচালককে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর এ গানের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করেন তারা। দীর্ঘ ৮ মাস পর কঙ্গনা এ গানের মাধ্যমে শুটিংয়ে ফিরেন। আর গানের দৃশ্যের প্রয়োজনে ১৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজেছেন এই অভিনেত্রী। গানটি শেয়ার করে কঙ্গনা টুইটে লিখেছেন—‘ধন্যবাদ, চালি চালি-কে এতটা ভালোবাসার জন্য। হিন্দিভাষী অনেকেই আমার কাছে প্রশ্ন করেছেন, জয় মা কি এতটাই সুন্দর ছিল? সত্যি কথা বলতে আমি তার ওপর কোনো কারুকার্য করিনি।’
জানা গেছে, দুটি ভাষায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। তামিল ভাষায় বায়োপিকের নাম হবে ‘থালাইভি’। অন্যদিকে হিন্দি ভাষায় ‘জয়া’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এএল বিজয়। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘বাহুবলি’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ও ‘মণিকর্ণিকা: কুইন অব ঝাঁসি’ সিনেমাখ্যাত কেভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। এটি প্রযোজনা করছেন বিষ্ণু বর্ধন এবং শৈলেশ আর সিং।
এ সিনেমার অংশ হতে পেরে গর্বিত কঙ্গনা। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘নারী হিসেবে ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্যের গল্প জয়ললিতাজি। তিনি একজন সুপারস্টার এবং পরবর্তীতে একজন আইকনিক রাজনীতিবিদ হয়েছিলেন, মূলধারার সিনেমার জন্য এটি অনেক বড় উপাদান। সিনেমাটির অংশ হতে পরে আমি গর্বিত।’
জয়ললিতা জয়রাম ১৯৪৮ সালে কর্ণাটকের মান্দ্যা জেলায় একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার স্কুল জীবনে শুরু হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। এরপরে তিনি তার মায়ের সঙ্গে চেন্নাইয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। ওই সময় তার বয়স ছিল ১০। জয়ললিতা ১৯৮২ সালে ‘এআইএডিএমকে’ রাজনৈতিক দলে যোগ দান করেন।
রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে সিনেমা জগৎ কাঁপিয়েছেন জয়ললিতা। ১২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তামিল, তেলেগু, হিন্দি, কন্নড় এমনকি ইংরেজি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন জয়ললিতা। তার সময়ে অন্যতম প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।
জয়ললিতা তার অনন্য প্রতিভার দ্বারা ‘কাভারচি কান্নি’ খেতাব লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে ‘পুরাতছি তালাইভি আম্মা’ অর্থাৎ ‘প্রতিবাদী নেত্রী’র উপাধি লাভ করেন। ২০১৬ সালে ৬৮ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।