অর্থনীতি

দোকান খুলতে পেরেই খুশি তারা 

করোনায় সংক্রমণ ও মৃত‌্যুর হার বাড়তে থাকায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৭ দিনের লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। তবে, লকডাউনের সময়  ব‌্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামেন দোকান মালিকরা। এরপর বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট  খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এ অবস্থায় গত কয়েকদিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুক্রবার সকাল থেকে দোকান খুলেছেন গুলিস্তানের ব‌্যবসায়ীর। তারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে দোকান বন্ধ। আজকে এসে পরিষ্কার করে দোকান শুরু করতে করতে দুপুর হয়ে গেছে। তবে তেমন বেচাকেনা নেই। অন্যান্য সময়ে যেভাবে বিক্রি হয়, সেভাবে আজ জমে উঠছে না। অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন। তবে সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি তারা।

গুলিস্তান মোড়ে ফুটপাতে বাচ্চাদের জামা কাপড় বিক্রি করেন শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় যে বেচাকেনা হয়, করণা পরিস্থিতিতে সেটি নেই। এর মধ্যে সরকার লকডাউন দিয়েছে। প্রথমদিকে কয়েকদিন দোকানপাটও বন্ধ ছিল পাশাপাশি গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। আজকে সকাল থেকে খোলার অনুমতি দিয়েছে। তবে ওভাবে কাস্টমার নেই। যতটা না থাকে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনে।’

ফুলবাড়িয়া মার্কেটের দোকান মালিক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা পাইকারি বিক্রি করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক এসে মাল নিয়ে যায়। তবে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জেলার লোক আসছে না। তারা এই কয়েকদিনে ফোনে যেগুলো অর্ডার করেছে, সেগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।’

সিনোড ইলেক্ট্রিক কো. এর কর্ণধার হাসান মাহমুদ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে দোকান বন্ধ ছিল। দোকানের ভাড়া কর্মচারী ইনভেস্টরদের দেনা সবকিছু মিলিয়ে একদিনও দোকান বন্ধ থাকলে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। এই অবস্থায় লকডাউনে বেশ কয়েক দিন বন্ধ ছিল। আজকে খুলছি। তবে, কোনো কাস্টমার সেভাবে পাইনি। সামনে আবার বন্ধ হয়ে যায় কি না, আতঙ্কে আছি।’

 সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৭ দিনের লকডাউনের মধ‌্যেই বুধবার নতুন ঘোষণা দেয় সরকার। এই ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার কথা বলা হয়। 

এরই মধ‌্যে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) কঠোর লকডাউনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। জরুরি সেবা ছাড়া সব অফিস ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে।’এই সময়ে  যানবাহনও চলবে না বলে জানান তিনি। 

এদিকে, ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে দোকানিদের কপালে।  এই প্রসঙ্গে পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল হালিম জনটু বলেন, ‘কাস্টমার ধরে রাখতে আমাদের দোকান খোলা। দোকানের ভাড়া, কর্মচারী বিল লকডাউনে বন্ধ থাকলে এসব কিছু মেটানো যায় না। এখন নতুন করে  লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় কিভাবে চলবো, বুঝতে পারছি না।’