লকডাউন চলছে। চিড়িয়াখানা বন্ধ। দর্শনার্থী নেই। উৎসুক মানুষের হই হুল্লোর জ্বালাতন নেই। এই সময়ে খাঁচায় বন্দি পশু-পাখির বাড়তি যত্ন নিচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাই চিড়িয়াখানায় হেসে খেলে দিন কাটাচ্ছে ‘জো বাইডেন’।
‘জো বাইডেন’ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেড়ে ওঠা এক বাঘ্র শাবক।
এই সময়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বাঘকে উপহার দিয়েছে সম্প্রসারিত সাত হাজার বর্ঘফুটের বড় খাঁচা, নান্দনিক ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। দর্শনার্থী না থাকার সুযোগে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছে খাঁচায় থাকা বাঘ্র শাবকের কাছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এবং হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, লকডাউনে বন্ধ চিড়িয়াখানায় কোনো দর্শনার্থী নেই। এই অবস্থায় চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে উন্নয়ন সংস্কার কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পশুপাখিদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং দুটি বাঘ্র শাবকের জন্য সম্প্রসারিত খাঁচা তৈরি হয়েছে। আগের সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের বাঘের খাঁচা এখন সাত হাজার বর্গফুট। বাঘের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। আর তাতে হেসে খেলে দিন কাটাচ্ছে বাঘের বাচ্চাগুলো।
দর্শনার্থী না থাকায় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ’র আদরে তার কোলে-পিঠে চরে বেশ ভালো সময় যাচ্ছে বাঘ্র শাবক জো বাইডেনের। এছাড়া চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব ইউএনও রুহুল আমিনের সঙ্গেও খেলতে দেখা গেছে জো বাইডেনকে।
সদস্য সচিব রুহুল আমিন বলেন, ‘চমৎকার, নান্দনিক একটা বাঘের খাঁচা বানানো হয়েছে। করোনার কালো মেঘ কেটে গেলে, পরিবেশ অনুকূলে এলে আবার সবার জন্য উন্মুক্ত হবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।’