কুয়েতে দণ্ডিত বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের কারাদণ্ড চার বছর থেকে বেড়ে ৭ বছর হয়েছে। পাশাপাশি তাকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (২৬ এপ্রিল) কুয়েতের একটি আপিল আদালত তার কারাদণ্ডাদেশ তিন বছর বাড়িয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, এ বিষয়ে দূতাবাসে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য এখনো নেই। তবে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটরের দপ্তর সূত্র এবং দেশটির আরবি দৈনিক আল কাবাস এ খবর জানিয়েছে।
জানা গেছে, কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে এবং অন্যটি করা হয় অর্থ পাচারের অভিযোগে। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের দায়ে আগেই তাঁর চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। একই মামলায় এবার মানব পাচারের দায়ে আদালত ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ড দিলেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাটি এখনো বিচারাধীন।
মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে দণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত।