তৈরি পোশাক খাতের যেসব কারখানায় এখনো শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারেনি, তা মঙ্গলবারের (১১ মে) মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তবে ঠিক কত শতাংশ বাকি রয়েছে সেই বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাননি।
ফারুক হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তবে বাড়তি ছুটির জন্য শ্রমিকদের জন্যেই সরকারের নির্দেশনা বা সরকারের সাথে সহযোগিতা করছি। বেতন-ভাতার বিষয়ে বলবো, আশা করি আজকের মধ্যে বেতন-ভাতা অন্যান্য সব সমস্যা সমাধানের মধ্যে চলে আসবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, শ্রমিকরা যাতে এই সময়ে কর্মস্থল ত্যাগ না করে। কারণ নগরকেন্দ্রীক করোনা সব থেকে বেশি সংক্রমণ। তাদের মধ্যে সংক্রমক থাকলে সে গ্রামে গিয়ে অন্যদের সংক্রমিত করবে। এজন্য এখন সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। অনুরোধ করবো-ছুটি যে পরিমাণ আছে তার মধ্যেই কর্মএলাকায় থাকার জন্য।
পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কারখানা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানার সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৩টি, বিকেএমইএ’র ৮১৬টি, বিটিএমএ’র ৩১০টি বেপজা’র ৩৬৯টি এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৫৪টি কারখানা রয়েছে।
এসব কারখানার মধ্যে সব থেকে বেশি বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছে বিজিএমইএ। বেতন-বোনাস দিতে পারেনি এসব কারখানা সব থেকে বেশি রয়েছে, অন্যান্য তথা বাণিজ্য সংগঠনগুলোর সদস্য নয় এমন কারখানা।
এর আগে গতকাল (সোমবার) বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম জানিয়েছিলেন, সরকার নির্ধারিত সময়ে ১০ মে পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের মোট শ্রমিকের মধ্যে ৮৯ শতাংশের বেতন এবং ৯২ শতাংশের বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মদিবস কম থাকায় অর্থাৎ শুক্র, শনি ও শবে কদরের ছুটির কারণে সব কারখানা মালিক তাদের শ্রমিকের পাওনা সম্পূর্ণ করতে পারেনি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তা সমাধান হয়ে যাবে।