জাতীয়

ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন আমদানি

গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া থেকে উন্নত মানের ৩৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি এসব ভ্যাকসিন আমদানি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ‌্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমদানি করা এসব ভ্যাকসিনের মধ‌্যে গবাদি পশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও ভোলা জেলায় যথাক্রমে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ ডোজ, ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ ডোজ, ৬ লাখ ৭০ হাজার ডোজ এবং ৭ লাখ ৯৫ হাজার ডোজ পাঠানো হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের অর্থনৈতিক লাভের নিশ্চয়তা ও বিশ্ববাজারে দেশের প্রাণিজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। এ রোগে দেশের ডেইরি খাত ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বিধায় পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি করছে সরকার। ইতোমধ্যে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ২৮৬ ডোজ ভ্যাকসিনের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ‌্যে প্রথম ধাপে ৩৫ লাখ ডোজ অতি সম্প্রতি রাশিয়া থেকে দেশে এসেছে। এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক গরু, ছাগল, মহিষ এবং ভেড়া ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। করোনা মহামারির এ সময়ে খামারিদের ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে এ ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক ও উৎপাদনশীলতার দিক থেকে গবাদি পশুর সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ, যা সংক্ষেপে এফএমডি নামে পরিচিত। সাধারণত এ রোগ ক্ষুরে বেশি হয় বলে একে ক্ষুরা রোগ বলা হয়। এ রোগ দেশের ডেইরি শিল্পের অন্যতম প্রধান হুমকি।