সারা বাংলা

কাদের মির্জা অনুসারীদের গুলি, পালাতে গিয়ে আহত ৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ানম্যান দলের অনুসারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় গুলির শব্দে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছে ৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেল ৫টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়ার তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এক রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির কার্তুজ উদ্ধার করে।

আহতরা হলেন— পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ রাজীব (৩০), আরিফুর রহমান রাহীম (২৮), পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করিম উদ্দিন শাকিল (২৩), কোরবান আলী রাকীব (২৪) ও রাজীব আহমেদ রিয়াদ (২৪)। আহতরা কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

হামলার শিকার শাকিল অভিযোগ করে বলেন, বিকেলেরর দিকে পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়ার তিন রাস্তার মোড়ের পাশে বসে আমরা ১০-১২ জন কথা বলছিলাম। এ  সময় কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল ও ডাকাত পিচ্ছি মাসুদের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি অস্ত্রধারী দল আমাদেরকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও পালাতে গিয়ে আমরা ৫ জন আহত হই।

ঘটনাস্থলে যাওয়া কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম মিয়া জানান, ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভুক্তভূগীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কেচ্ছা রাসেল নামে এক যুবকের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা ব্যস্ত পাওয়া যায়।