নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে তার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের থানা সংলগ্ন জাহান ট্রেডার্সে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আ. লীগ নেতা ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, দুপুরের দিকে কচি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক তালুকদার, ফখরুল এবং পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়র্ডের শিপনের নেতৃত্বে তার দোকানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে কচি মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মির্জার দুই অনুসারী প্রথমে কচির দোকানে গিয়ে হামলা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পায়নি। তবে গুরুতর আহত কচিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।