শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মাধ্যমে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ল্যাবের আধুনিকায়ন ও মাঠ পর্যায়ে বিএসটিআইর কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিএসটিআই আয়োজিত বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘শিল্পোন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা: পণ্য ও স্বাস্থ্যসেবায় পরিমাপের গুরুত্ব’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআইর মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মেট্রোলজির পরিচালক প্রকৌশলী শামীমা আরা বেগম। এতে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মান প্রণয়ন বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বেগবান করতে পরিবেশবান্ধব ও গুণগত মানসম্পন্ন শিল্পায়ন জরুরি। জাতীয় মান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গুরু দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের ওপর বর্তায়। সব ক্ষেত্রে সঠিক ওজন ও পরিমাপক যন্ত্রের পরিমাপে সঠিকতা নিশ্চিত করতে বিএসটিআইর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়নের ধারা অব্যাহত রেখে টেকসই ও সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ শিল্পায়নসহ সব ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার পূরণে সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্য ও সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের শিল্প উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি শিল্প পণ্য উৎপাদনসহ ক্রয়-বিক্রেয়ের ক্ষেত্রে সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে ভোক্তা, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং বিএসটিআইর প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন ও পরিমাপে কারচুপি রোধে গত ১০ মাসে (জুলাই ২০২০-এপ্রিল ২০২১) ৮৯০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ১ হাজার ৪৮৯টি মামলা দায়ের এবং ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।