দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সর্ববৃহৎ সংগঠন উই-এর (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) আয়োজনে অনলাইনে হয়ে গেলো উদ্যোক্তা বিষয়ক মাস্টারক্লাস।
শনিবার (২২ মে) সকালে মাস্টারক্লাসটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ।
মাস্টারক্লাসটির আয়োজনে ছিল উই-এর বৈশ্বিক উপদেষ্টা ও সিল্ক গ্লোবাল লিমিটেডের সিইও সৌম্য বসু, উপদেষ্টা কবির সাকিব, প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা এবং এলআইসিটি প্রজেক্টের সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্র্যান্ডিং স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম।
এবারের মাস্টারক্লাসের কি নোট সেশনটি পরিচালনা করেন দি শেপার্ড অফ রিডার্সবার্গ এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রুতি কোহলি।
আর আর গ্রুপের সহযোগিতায় মাস্টারক্লাসের এবারের বিষয় ছিলো- ‘Storytelling : way of problem analysis and Solving.’
অনুষ্ঠানে শ্রুতি কোহলি গল্প বলে বিক্রি বাড়ানোর বেশ কিছু পথ বাতলে দেন। পাশাপাশি নতুনদের জন্য ফেসবুক, লিংকডইন ও ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি ও ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর কিছু নির্দেশনাও দেন।
উই-এর ১১তম মাসিক মাস্টারক্লাসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি উই-এর কার্যক্রম দেখি নিয়মিত। দেশের নারী উদ্যোক্তারা যেভাবে দেশীয় পণ্য এবং দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করছেন— আমি ভীষনভাবে অনুপ্রাণিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরির প্রত্যেকটি নিয়োগে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাবনা আবারও সরকারকে জানানো হবে।’
এছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার তাঁতীদের উই-এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে, তাদের কর্মসংস্থানে কাজ করার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘উই-এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে সরকারের ‘গ্রাম হবে শহর’ চিন্তাকে এগিয়ে নিচ্ছেন।’
এবারের মাস্টারক্লাস বিষয়ে নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণে চেয়েছি উদ্যোক্তাদের ভেতরের কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে, বিভিন্ন সেলস ফানেল সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে কী চলছে সেটা জানাতে।’