মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘করোনার অজুহাতে প্রকল্পের কাজে শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই।’
রোববার (২৩ মে) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকতা, একাগ্রতা, সততা ও আত্মনিয়োজনের পাশাপাশি দেশপ্রেম অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে করেনাকালেও বাংলাদেশকে বড় বড় অনেক রাষ্ট্রের চেয়ে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন। সে জায়গা আপনাদের ধারণ করতে হবে। রাষ্ট্রের জনগণকে কতটা সেবা দিচ্ছেন, এটা মনে রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কোনো নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দায় মন্ত্রণালয় বহন করবে না। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সব অনুশাসন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে জীবন্ত উপাদান নিয়ে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, প্রকল্পের কাজে মন্থর গতি ও মনিটরিং ঘাটতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা ও কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। প্রকল্পের ক্রয়কাজে যথাযথভাবে পিপিআর অনুসরণের কথা প্রকল্প পরিচালকদের কেন বারবার স্মরণ করে দিতে হবে? কাজ সম্পাদন ব্যতীত কোনোভাবেই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা যাবে না।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল মতিনসহ পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এবং পরিকল্পনা কমিশন ও আইএমইডির প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।