ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের পানিতে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জেটি ও পন্টুন বিধ্বস্ত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারে উত্তাল ঢেউ দ্বীপের একমাত্র জেটি ও পন্টুনে আঘাতে করে। এতে জেটির বেশকিছু অংশ ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে ও বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। পন্টুনের ৬টি অংশ ভেঙে পানিতে পড়েছে এবং বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে প্রবল জোয়ারের পানি জেটি, পন্টুনসহ পুরো দ্বীপে আঘাত করে বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
বুধবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান নূর আহমদ মোবাইল ফোনে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দ্বীপের দক্ষিণ সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম সৈকতের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেশকিছু গাছপালা, হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। দ্বীপের চারদিকে লোনাপানি প্রবেশ করায় মিষ্টি পানির সংকট হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
নূর আহমদ বলেন, প্রবল জোয়ারে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে জেটি ও পন্টুনের। জোয়ারের পানিতে পন্টুনের ৬টি অংশ ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে ও চারপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া জেটিও বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক অংশ ভেঙে পড়েছে এবং অনেক অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এখন পুরো দ্বীপে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা হচ্ছে। সবকিছু নিরূপণ করে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত দুইদিনের প্রবল জোয়ারে ঝুঁকিতে পড়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। বুধবারের প্রবল জোয়ারের পানিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে কয়েকটি পয়েন্ট।
হিমছড়ির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রহিম বলেন, বুধবার সকাল থেকে প্রবল জোয়ার শুরু হয়, যা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এই প্রবল জোয়ারে হিমছড়ির পর্যটন স্পটের ২০টির অধিক দোকান তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানি আচড়ে পড়ে জিও ব্যাগে। যা জিও ব্যাগ পেরিয়ে মেরিন ড্রাইভের রাস্তার ওপর আচড়ে পড়ে।
আরেক ব্যবসায়ী শুক্কুর বলেন, জোয়ারের পানিতে হিমছড়ি এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের তিন স্থানে ভাঙন ধরেছে। তবে যেখানে ভাঙন ধরেছে, সেখানে ভাঙন প্রতিরোধে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ভাঙন ধরা স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে দ্রুত সংস্কারের কাজ চলছে, যা রাতের মধ্যে শেষ হবে।