অতি প্রবল ঘূণিঝড় ‘ইয়াসে’র প্রভাবে বাঁধ ভেঙে খুলনার তিন উপজেলার ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব উপজেলার ছয় হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) বেলা ১১টার পর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করে। পরবর্তীতে নদী উত্তাল হয়ে উঠলে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। ফলে বুধবার রাত থেকে বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হন অনেকেই। নিরাপদ আশ্রয় নেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার কয়রা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া, পবনার বেড়িবাঁধ, মঠবাড়ি মঠের কোনা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চোকুনী, তেঁতুলতলার চর, শিংগির-কণা, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে গাতিরঘেরী, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে আংটিহারা ও বিনাপানি পদ্মপুকুর।
পাইকগাছার সদর, কাঁচামালের পট্টি, সোনা পট্টি, কাপড়ের পট্টি, কাঁকড়া পট্টি, মাছ বাজারসহ পৌর বাজারের সব রাস্তা পানির নিচে। কপিলমুনির আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ, দেলুটির চকরিবকরি, গেয়ুবুনিয়া, মধুখালী, পারমধুখালী, রাড়ুলীর মালোপাড়র বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকেছে। এছাড়া, দাকোপ উপজেলার কামিনিবাসিয়া, পানখালী এবং মেরিন কোম্পানির আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২০০ পরিবার।’
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘প্লাবিত এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে আছেন। তাদের খাবার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সরবরাহ করছেন।’