অর্থনীতি

নতুন কোনো সুবিধা পায়নি পোশাক খাত: বিজিএমইএ সভাপতি

৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত নতুন কোনো সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পর গণমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।

যদিও চলতি অর্থবছর ২০২০-২০২১ থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্পের করপোরেট কর ছাড়ের মেয়াদ বহাল রাখা হয়েছে। পোশাক খাতে ‘গ্রিন ফ‌্যাক্টরি’ সনদধারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ শতাংশ এবং সনদবিহীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ করপোরেট কর বহাল থাকবে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর সভাপতি বলেছেন, ‘চলতি বছর যেসব সুবিধা আছে, তা ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকবে। এছাড়া নতুন কোনো সুবিধা এ অর্থবছরে পাওয়া যায়নি। করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনীতি বিবেচনায় আমরা খাত সংশ্লিষ্ট বেশকিছু প্রস্তাব করেছি, যার কোনো প্রতিফলন দেখতে পাইনি।’

এর আগে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ জুন (শনিবার) দুপরে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। এতে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতে বিদ্যামান বিভিন্ন রপ্তানি প্রণোদনার সঙ্গে ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়। এর ফলে এ খাতে করোনা মহামারির প্রভাব সফলভাবে মোকাবিলা করা গেছে। চলতি অর্থবছরে এ ধারা অব্যাহত রাখার ফলে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়ায় এবং বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি বদ্যিমান থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ রপ্তানি অর্জন করে। এ কারণে আগামী অর্থবছরেও আমি ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।’