সারা বাংলা

সাতছড়িতে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বিরল প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় এ সব তথ্য জানান সাতছড়ি বন্যপ্রাণি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন।

রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, চুনারুঘাট উপজেলার আমতলীর কনা মিয়ার বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে লজ্জাবতী বানরটি স্থানীয়রা দেখতে পায়। এ খবর পেয়ে তারা দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বানরটি উদ্ধার করেন। পর্যবেক্ষণের পর বিকেলে সেটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অবমুক্ত করা হয়।

হবিগঞ্জের সন্তান সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জাতীয় পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, লজ্জাবতী বানর পৃথিবীতে প্রাপ্ত বানর গোত্রীয় প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের বেশি দেখা যায়। লজ্জাবতী বানর বিভিন্ন আকারের হয়। তাদের গড় ওজন মাত্র ১০ আউন্স। আর সবচেয়ে বড় প্রজাতির লজ্জাবতী বানর এ দেশের রেমা-কালেঙ্গা ও সাতছড়ির গভীর অরণ্যে পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ২ কেজি আর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ইঞ্চি। তাদের দেহ পশমে আবৃত। প্রজাতিভেদে গায়ের রঙ ধূসর, বাদামি, হলুদ, লাল অথবা সোনালি হয়। এরা নিশাচর হওয়ায় চোখের আকৃতি ও অবস্থান অন্যান্য প্রাণিদের থেকে আলাদা ও প্রখর দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। অন্যান্য প্রাণিদের তুলনায় এদের ঘ্রাণশক্তিও তীব্র, যা তাদের শিকার ধরতে সাহায্য করে। একটি লজ্জাবতী বানর সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লজ্জাবতী বানর সাতছড়ি বনের ঐতিহ্য বহন করছে। এ বনে প্রাণিটির বিচরণ রয়েছে। পর্যটকরা এ প্রাণিটি দেখতে বনের গহিনে প্রবেশ করেন। দেখে মনে তৃপ্তি পান। এ বনের ন্যায় রেমা-কালেঙ্গার বনেও প্রাণিটির বসবাস রয়েছে। তিন দিনে উদ্ধার হওয়া আরও ৩টি লজ্জাবতী বানর নতুন করে এ বনের বাসিন্দা হলো।