সারা বাংলা

প্রেসিডেন্ট টেসিডেন্ট করো যে, এটা কঠিন ব্যাপার: আবদুল কাদের মির্জা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আল্লায় ওনাকে বড় করক, আরো বড় করক। প্রেসিডেন্ট টেসিডেন্টও অইবার সম্ভবনা আছে। অইলে জানি আল্লায় কি করে আমাদেরকে। আল্লায় জানে। আল্লাহ তুমি আমাদেরকে হেফাজত করো। আল্লাহ আমগোরে হেফাজত করো। প্রেসিডেন্ট টেসিডেন্ট করো যে, এটা কঠিন ব্যাপার। এটা কি আব্দুল হামিদ নি, সকল সরকারের আমলে এমপি হইছে। এমনে প্রেসিডেন্ট অই যাইবো? অইলে তো ভালা কথা। আমরা খুশি। তবে ডরাই আবার কোন চঙ্গল করে।’

শুক্রবার (১১ জুন) কাদের মির্জা সমর্থিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যেগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বকৃক্তাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, কোম্পানীগঞ্জে নমিনেশন আব্দুল কাদের মির্জার বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। গত পরশু দিনের দৃশ্য আইয়ুব আলী সামনে দেখছে। শেখ হাসিনা বড় না, ওবায়দুল কাদের বড়। ওবায়দুল কাদের সাহেব এদার-পেদার করতে পারে, শেখ হাসিনা করবেনা। আমার বিশ্বাস। বেলায়েতকে ওবায়দুল কাদের সাহেব সচিব রাখতে পারছেনি। তাকে এক্সটেনশান করতে পারেনি, হবে না। করোনকালিন সবার এক্সটেনশন হইছে, তার হয়নি। কাম করি দিছি। তার চিত্র উঠায় ধরছি, তদন্ত হইছে, ধরা পড়ে গেছে।

অনুসারীদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব ওবায়দুল কাদেরকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য আমেরিকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমাকে হত্যা করে গুম করার নীল নকশার তথ্য পেয়ে আমি আমেরিকা যাওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হাসান ইমাম বাদল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহেদুর রহমান তুহিন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বসুরহাট পৌরসভা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান শাহীন প্রমূখ।