ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হবে। এক্ষেত্রে যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সেভাবেই তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে: পরীমনি
মঙ্গলবার (১৫ জুন) পরীমনির কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, পরীমনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নায়িকা। একদিকে নায়িকা অপরদিকে সে হচ্ছে আমাদের ছোট বোন। সে হিসেবে আমাদের দায়িত্বটা হচ্ছে যখন আমরা মিডিয়াতে ওর কথাটা শুনলাম তখন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। তারই অংশ হিসেবে মামলা দায়েরের পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আমাদের যা যা করণীয় তার সবকিছুই করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নাসির ইউ মাহমুদসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরীমনির কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। সব বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে আদালতে একটি দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এর আগে বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন পরীমণি। এরপর সেখানে তিনি ডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করার পর তিনি ৬টা ৫ মিনিটে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, রোববার (১৩ জুন) রাতে পরীমনি তার ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি লেখেন। ওই রাতেই তিনি সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন গণমাধ্যমের সামনে। সোমবার সকালে পরীমনি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় নাসিরসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরপরই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।