সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি মামলার অভিযোগ এবং চার্জশিটে তথ্যের গড়মিল রয়েছে। অনেক অসত্য কথা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু বিচারক বিষয়টা আমলে নেননি। তাই জামিন নাকচ করেছেন। আগামী ধার্য তারিখে শুনানি নয়তো বা উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
রোববার (২৭ জুন) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটির চার্জ গঠন ও শুনানি শেষে ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারাত তারিখে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদেশ দেন।
এদিকে, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম বলেন, ‘ওসি প্রদীপসহ ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই বাদি পক্ষের ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।’
আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি, ওই দিন শামলাপুর চেকপোস্টে পরিদর্শক লিয়াকত ও ওসি প্রদীপসহ আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে হত্যা করেছে। সিনহার পেছনে সোর্স লাগিয়ে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন এগুলোর নিয়মিত খবর রেখে চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে তাকে হত্যা করেছে তারা। তাই জামিন যাওয়া হলেও ৬ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছন আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।’
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী মামলা করেন। পরে আদালত মামলার তদন্তভার দেন র্যাবকে।