রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। এছাড়া যারা মারা গেছেন দায়ীদের পক্ষ থেকে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এ কথা বলেন তারা। এর আগে সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
জাপার (জাতীয় পার্টি) সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু প্রথমে আলোচনার সূত্রপাত করেন। এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে সমস্ত হোটেল বা রেস্টুরেন্ট আছে এগুলোতে যে গ্যাস স্টোভ ইউজ হয় সেই গ্যাসের স্টোভ বা সিলিন্ডারগুলো কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের মাধ্যমে ইন্সস্পেকশন করা হয় কিনা এ প্রশ্নটা সামনে আসছে। কারণ আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্রাইভেট গাড়িতে যেসব গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে সেগুলো ব্লাস্ট হওয়ার কারণে অনেক অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এবং অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো এই যে ঘটনাটা গতরাতে ঘটলো এটা আসলেই যদি গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে তাহলে কি কারণে এখানে গ্যাসের যে এত বড় একটা স্টোর ছিল এটা কি কোন সময় ইন্সস্পেকশন করা হয়েছিল? এমনকি সারাদেশে যে সমস্ত জায়গায় গ্যাসের সিলিন্ডার স্টোর করা হয় প্রয়োজনীয় ইন্সপেকশন হয় কিনা? এগুলো যেন ইন্সস্পেকশন করা হয়। কারণ কাল রাতে যে দুর্ঘটনা ঘটল এর কারণটা, এর প্রতিকার এবং এত মানুষ মারা গেল এতে কি কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে? যেসব হোটেল রেস্টেুরেন্টের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাধ্য করা হবে কিনা? এই বিষয়ে একটি বিবৃতি মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এরপর বিএনপির হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন সাথে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি এসব ঘটনা ঘটছে। গতবছর নারায়ণগঞ্জের মসজিদে নামাজরত অবস্থায় প্রায় ৪০ জন মানুষ মারা গেছে, অনেক আহত হয়েছে। তাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মগবাজারের মতো ব্যস্ততম এলাকায় যে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এখানে (সংসদে) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নাই।