রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর দু'টি ঘরই কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪ টায় কাপ্তাই ইউনিয়নেরর নতুনবাজার ঢাকাইয়া কলোনীর সিঁড়িঘাট ও লগগেইট এলাকায় মো. ফরিদ এবং নবী হোসেনের দু'টি ঘর পাহাড় ধ্বসে কর্ণফুলী নদীতে তলিয়ে যায়। নবী হোসেন কিছুটা আহত হলেও ঘরের অন্য লোকজন প্রাণে রক্ষা পান।
এ ছাড়া লগগেইট এলাকার মামুন নামের আরও একজনের ঘর পাহাড় ধসে ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, সংবাদ শুনে আমি ছুটে আসি। ঘটনাস্থলে এসে দেখি পাহাড় ধ্বসে দু'টি ঘর কর্ণফুলী নদীতে ভেসে গেছে এবং মামুন নামের আরও একজনের ঘরেরও ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকাইয়া কলোনির পাহাড়ের ঢালুতে এখনো ৫শ পরিবার ঝু্ঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, প্রশাসনের পক্ষ হতে বারবার মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদে সরে আসার জন্য বলা হলেও অনেকেই কথা রাখেননি। ফলে এই ঘটনা ঘটলো।
তিনি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার জন্য অনুরোধ জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, নতুনবাজার বনিক কল্যান সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, স্থানীয় ইউপি সদস্য সজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে পরিবার প্রতি নগদ ২ হাজার টাকা এবং ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।