রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। রমনা থানার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস গ্যাসের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রক শাখা (দক্ষিণ) রোববার (৪ জুলাই) বিকেলে এই কাজ সম্পন্ন করেছে। এ সময় কর্তৃপক্ষের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ শাখা- দক্ষিণের ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার শবিউল আউয়ালসহ অন্যান্য দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে মিথেন গ্যাস, খুঁড়ে দেখবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ
রাইজিংবিডিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, রমনা থানার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। আবেদনে বলা হয়েছিল- গ্যাস নিঃসরণ বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। এজন্য আমরা (তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ) খনন কাজ শুরু করি। এখন আপাতত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করবেন।
দুর্গন্ধ কোথা থেকে আসছে-এই প্রশ্নে তিতাস কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি গ্যাস সংক্রান্ত বিষয় হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এখন গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। বিষয়টি আরও পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
রোববার (৪ জুলাই) সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে মাটি খুঁড়ে গ্যাস বের হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বিস্ফোরিত ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে (মৌচাক থেকে মগবাজার অংশ) যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। দুর্ঘটনা এড়াতে অগ্নিনির্বাপক সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তিতাস গ্যাস ও ফায়ার-সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরোচ্ছে মিথেন গ্যাস
গত ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকার একটি তিনতলা ভবনে বিষ্ফোরণ ঘটে। জমে থাকা গ্যাসের কারণেই এই বিষ্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের তোড়ে সেই ভবনের নিচতলার প্রায় পুরোটাই ধসে যায়। বিস্ফোরণে অনেকের শরীরে আগুন ধরে যায়। এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক ব্যক্তি।