নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির (সেজান জুস) কারখানার ছয় তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ জনের মধ্যে ৪৯টি লাশ পুড়ে কয়লার মতো হয়ে গেছে। সেগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকার কারখানায় আগুন লাগে। ২৪ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে লাশগুলো শনাক্ত করতে না পারায় সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেনি প্রাশাসন।
এদিকে, নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা প্রিয়জনের লাশটি অন্তত তাদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছে। আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ৪৯টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া লাশগুলোর ডিএনএ টেস্ট করে সেই রিপোর্ট তাদের স্বজনদের ডিএনএ রিপোর্টের সঙ্গে মিল করিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, ছয়তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ডাম্পিংশের কাজ করছে। নিহতের স্বজনরা ৫০ জন শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর দুপুরে ৪৯টি লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষায় রিপোর্ট ম্যাচ করে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।