ফুটবল জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব। চামড়ার এক গোলকের দুর্বার আকর্ষণে পুরো বিশ্বের নজর এখন একবিন্দুতে। কেন্দ্রস্থল ব্রাজিলের মারাকানা, ইংল্যান্ডের লন্ডন। যেখানে একই দিনে দুই মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার ফাইনাল হতে যাচ্ছে।
তাতে রীতিমতো উত্তাল গোটা দুনিয়া। আবার সমর্থকদের কথার লড়াই জমেছে ফেসবুক, টু্ইটারের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। সঙ্গে বাড়তি উপহার হিসেবে আছে টেনিসের উইম্বলডন ফাইনাল। সব মিলিয়ে কোপা, ইউরো ও উইম্বলডন ফাইনাল নিয়ে দিনটি হতে যাচ্ছে ‘সুপার সানডে’। সারাদিনের এ ক্রীড়া উৎসবের জন্য আপনি তৈরি তো?
ভৌগোলিক কারণে কোপা ও ইউরো একই দিনে পড়েনি। কিন্তু গ্রিনিচ মান সময় বা জিএমটি প্লাস হিসেবে যারা এগিয়ে আছেন তাদের কাছে দুই ফাইনাল প্রায় একই দিনে পড়েছে। একটা ভোরে। আরেকটি গভীর রাতে। শনিবার রাত পোহালেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণ।
মেসি বনাম নেইমার ফুটবল যুদ্ধ। ধ্রুপদী এ মহারণ মারাকানায় রোববার ভোর ৬টায় শুরু হবে। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সর্বশেষ কোনও ফাইনালে খেলেছে ১৪ বছর আগে। ২০০৭ সালের কোপার সেই ফাইনালটি হয়েছিল ভেনেজুয়েলার মারাকাইবোতে। সেবার আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে ট্রফি জিতেছিল ব্রাজিল।
এদিন বিকেলে উইম্বলডন ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হবে মাত্তেও বেরেত্তিনি ও নোভাক জোকোভিচ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় ম্যাচটি শুরু হবে। এ ম্যাচটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে টেনিসের এক নম্বর বাছাই নোভাক জোকোভিচের জন্য। সার্বিয়ান তারকা এ ম্যাচটি জিতলে গ্ল্যান্ড স্ল্যামে রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরারকে ছুঁয়ে ফেলবেন। সেমিফাইনালে তিনি স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দেন দশম বাছাই ডেনিস শাপোভালোভকে আর মাত্তেও বেরেত্তিনি প্রথম সেমিফাইনালে রজার ফেডেরারকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা পোল্যান্ডের হুবার্ট হুড়কাজকে হারান। ইতালির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি উঠেছেন উইম্বলডন ফাইনালে।
সবশেষ রাতে ইউরোর শিরোপা নিষ্পত্তি। যেখানে খেলবে ইতালি ও ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড প্রথম ইউরো জয়ের মিশনে আছেন। অপ্রতিরোধ্য ইতালি দ্বিতীয় ইউরোর শিরোপা জিততে মুখিয়ে। ফলে এ ম্যাচটাতেও যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উত্তাপ ছড়াবে বলাই যায়।
করোনার ধাক্কায় জীবন থেকে হারিয়েছে অনেক কিছু। সেসব ভুলে বেঁচে যাওয়া মানুষ জীবনকে স্বাভাবিক করছে নানা উপায়ে। ক্রীড়ামোদীদের কাছে সুপার সানডে বহুল আকাঙ্খিত। এজন্য অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। ‘সুপার সানডে’-র জন্য আপনি তৈরি তো?